দিল্লিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে চলেছে বাতাসে ওজন গ্যাসের তাপমাত্রা। তার থেকেই তৈরি হচ্ছে বিষাক্ত গ্যাস সানবার্ন। যার ফলে ফুসফুসে বাসা বাঁধছে নানান রোগ। প্রধানত দিল্লির শিল্পপ্রধান এলাকাগুলি এবং যানবাহনের দূষণই এই রোগের অন্যতম উৎস বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনেরবেলা তাপমাত্রা যখন খুব বেশি থাকে তখন বাতাসে উপস্থিত নাইট্রোজেন অক্সাইডের থেকে এই গ্যাস উৎপন্ন হয়। এর ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা বেড়ে চলেছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে দিল্লির বাতাসকে যথেষ্ট দূষিত বলে দাবি করেছে। পাশাপাশি দিল্লির বাতাসে কার্বন মনো অক্সাইডের পরিমাণ যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতেও তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। সিপিসিবি সূত্রে জানানো হয়েছে, মে মাসের ১, ২ এবং ৪ তারিখ এবং এপ্রিল মাসেরও বেশ কয়েক দিন দিল্লির ওজন স্তরের তাপমাত্রা খুবই বৃদ্ধি পেয়েছিল। যার ফলে বাতাসে বেড়ে চলেছে বিষাক্ত সানবার্ন গ্যাসের পরিমাণ। দূষণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করে চলা সংস্থা ‘ক্লিন এয়ার ক্যাম্পেইন’ এর প্রধান অনুমিতা রায় চৌধুরি প্রশাসনিক গাফিলতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আগামী দিনে গরম যত বাড়বে এই সমস্যাও ততই ভয়াবহ হবে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ এর একটি রিপোর্টে বিশ্বের দূষিত ২০ টির মধ্যে ভারতেরই ১৪ টি শহর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দিল্লিসহ একাধিক শহরের নাম রয়েছে।