রাজ্যপালের কার্জন-উক্তি: ট্যুইট ডিলিট করে নতুন ট্যুইটে ক্ষতে প্রলেপের চেষ্টা ধনকড়ের, তবে চাইলেন না ক্ষমা
ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে টেনে এনেছিলেন লর্ড কার্জনের বঙ্গভঙ্গের কথা। তা নিয়ে প্রবল বিতর্কের জেরে বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সকালের ট্যুইট মুছে দিয়ে রাতে ফের ট্যুইট করেন। কিন্তু নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে কেন কার্জনকে টেনে আনলেন, তা নিয়ে ব্যাখ্যা মেলেনি। ঠিক তেমনই নতুন ট্যুইট বার্তায় ক্ষমা চাওয়ার কোনও বার্তা নেই।
বছরের শেষ দিন সন্ধে সওয়া ৭ টা নাগাদ রাজ্যপাল ট্যুইটে জানান, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ীদের প্রতিক্রিয়া এবং বাংলার সম্মানের কথা বিবেচনা করে আমি ট্যুইটটি ডিলিট করেছি। দ্বিতীয় ট্যুইটে অবশ্য আর কার্জনের নাম মুখে আনেননি জগদীপ ধনকড়। বরং তাঁর ট্যুইটে এসেছে রবীন্দ্রনাথ ও একতার বার্তা।
বিতর্কের সূত্রপাত রাজ্যপাল ধনকড়ের নববর্ষের ট্যুইটকে কেন্দ্র করে। সোমবার রাজভবনে বসে নিউ ইয়ারের শুভেচ্ছা রেকর্ড করার ছবি দিয়ে তিনি গর্ব প্রকাশ করে লিখেছিলেন, লর্ড কার্জন যে চেয়ার-টেবিলে বসে বঙ্গভঙ্গের হুকুমনামায় সই করেছিলেন, সেখানেই বসে নববর্ষের বার্তা রেকর্ড করছি।
এই ট্যুইটের পরই গর্জে ওঠে বাংলা। প্রশ্ন ওঠে, বঙ্গভঙ্গ নিয়ে বাঙালির হৃদয়ে বেদনার ইতিহাসের খোঁজ রাখেন না রাজ্যপাল? কার্জনের ব্যবহার করা চেয়ারে বসে কি ধনকড় গর্বিত অনুভব করছেন? অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, বঙ্গভঙ্গ যে উদযাপনের নয় বরং আঘাতের, প্রতিবাদের, নাছোড় প্রতিরোধের ইতিহাস, সেই সম্পর্কে কি রাজ্যপালের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই? শেষমেশ চরম বিতর্কের মুখে নিজের লেখা ওই পোস্ট ডিলিট করেন জগদীপ ধনকড়।
পোস্ট ডিলিট হয়েছে ঠিকই কিন্তু নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে রাজ্যপালের কার্জন-উক্তির প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Comments are closed.