ইস্টবেঙ্গল মাঠে যাঁরা নিয়মিত খেলা দেখতে যান, তাঁরা সবাই তাঁকে চিনতেন। ভালো নাম জয়দীপ হলেও সেই নামে প্রায় কেউই চিনতেন না। সবাই চিনতেন বেজি নামেই। ইস্টবেঙ্গলের খেলা থাকলেই মাঠে হাজির হয়ে যেতেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল সমর্থক থেকে কর্মী, ক্লাব কর্তা ফুটবলার সবারই ভীষণ প্রিয় ছিলেন বেজি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ভিতরেও ছিল তাঁর অবারিত দ্বার। তিনি যেন ছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের আইকন। ইস্টবেঙ্গল মাঠে নামছে, আর বেজিকে দেখা যাচ্ছে না এ যেন ভাবাই যেত না। শেষ কয়েক দশকে বহু ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারের প্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন বেজি। তার মধ্যে প্রথম নামটাই ছিল ভারতীয় ফুটবলের আইকন বাইচুং ভুটিয়া। বেজিকে নিজের পরিবারের সদস্য মনে করতেন বাইচুং। তাঁর বাড়িতেও ছিল এই ইস্টবেঙ্গল সমর্থকের নিয়মিত যাতায়াত।
কয়েকদিন থেকেই ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এই ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। চিকিৎসার খরচ বহন করার সামর্থ্য না থাকায় পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন অন্যান্য সমর্থকরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেল না তাঁকে। সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। আর বেজির মৃত্যুর খবরে মর্মাহত হয়ে পড়েন বাইচুং ভুটিয়া নিজেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেজির সঙ্গে ছবি দিয়ে পোস্ট করেছেন তিনি। বেজিকে ছোটু নামে ডাকতেন বাইচুং। বাইচুং লিখেছেন, ‘ছোটুর মৃত্যুর খবর শুনে খুব খারাপ লাগছে। ও ছিল আমার কাছে পরিবারের মতো।’
Comments are closed.