বাড়িতে ডাঁই করে রাখা গাঁজা, উদ্ধার করতে গিয়ে কুকুরের কামড় খেল পুলিশ, বিপুল পরিমাণ মাদক-সহ ট্যাংরা থেকে ধৃত ১

বাড়ি জুড়ে রাখা হয়েছিল বিপুল পরিমাণে গাঁজা। পুলিশ বাজেয়াপ্ত করতে গেলে কুকুর লেলিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা! কুকুরের কামড়ে জখমও হলেন এক পুলিশ কর্মী। শুধু তাই নয়, প্রমাণ নষ্ট করতে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল। ঘণ্টা চারেকের চেষ্টায় বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক রাখার অভিযোগে কলকাতার ট্যাংরা এলাকার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যায় বছর একত্রিশের জয়দেব দাস নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় এক কেজি চরস উদ্ধার করা হয়। কোথা থেকে এই বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক পেয়েছে, পুলিশকে তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি ওই ব্যক্তি। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর ট্যাংরা থানা এলাকায় জয়দেবের বাড়িতে হানা দেয় নার্কোটিক সেলের অফিসার ও ট্যাংরা থানার পুলিশ। কিন্তু পুলিশ অফিসাররা ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করতেই, তাঁদের উপর ছেড়ে দেওয়া হয় একটি রটউইলার এবং একটি ডোবারম্যান কুকুরকে। কুকুরের কামড়ে জখম হন অমিত মণ্ডল নামে এক পুলিশ কনস্টেবল।
শেষে ওই কুকুরদের বাগে আনতে লালবাজার ডগ স্কোয়াডের কর্মীদের আনা হয়। তাঁরা এসে কুকুর দু’টি কে বাগে আনেন। এরপর জয়দেবের ফ্ল্যাটে ঢুকতে সক্ষম হন কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা ও নার্কোটিক্স শাখার অফিসাররা। কিন্তু পুলিশ ঢোকার আগেই, প্রমাণ নষ্ট করতে গাঁজা জড়ো করে রাখা ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় অভিযুক্ত জয়দেবের স্ত্রী।
পুলিশের অভিযোগ, তাঁদের অভিযানের খবর পেয়েই জয়দেবের পরিবারের লোকেরা বাড়িতে থাকা গাঁজায় আগুন লাগিয়ে প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা করে। তবুও ২১ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধা্র করেন পুলিশ অফিসাররা। জয়দেবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ট্যাংরা থানায় মামলা রুজু হয়েছে। পাশাপাশি জয়দেবের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্যদের বিরুদ্ধে প্রমাণ নষ্টের চেষ্টা, নিষিদ্ধ মাদক মজুত রাখা এবং কুকুর ছেড়ে দিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের উপর হামলার অভিযোগে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

Comments are closed.