ভালো কাজ করলে পুরস্কার। নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। গ্রামোন্নয়নের দৈনন্দিন কাজ ছাড়াও সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে একাধিক ব্যতিক্রমী ও নজিরবিহীন কর্মসূচি গ্রহণ করে গ্রামপঞ্চায়েতগুলি। এতদিন এই সমস্ত কাজের কোনওরকম মূল্যায়নের ব্যবস্থা ছিল না। ফলে ভালো কাজ করেও তার কোনও স্বীকৃতি পেত না পঞ্চায়েতগুলি। এবার এই ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিল রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর। এবার এই সমস্ত কাজের সঠিক মূল্যায়ন হবে। পাশাপাশি ‘ভালো’ কাজের শংসাপত্রও দেওয়া হবে পঞ্চায়েতগুলিকে।
কীভাবে হবে এই কাজের মূল্যায়ন? এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করেই প্রত্যেক জেলা প্রশাসনকে চিঠি পাঠানো হয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফে। তাতেই বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে পঞ্চায়েতগুলির কাজের মূল্যায়ন করবে পঞ্চায়েত সমিতি। তার পরে জেলা পরিষদ। মোট ১০ নম্বর ধার্য করা হবে। তার মধ্যে পঞ্চায়েতগুলির নেওয়া উদ্যোগের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতেই শ্রেষ্ঠত্বের বিচার হবে। এই সমস্ত উদ্যোগ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য সহ তার প্রাপ্ত নম্বর জেলা পরিষদ পাঠিয়ে দেবে পঞ্চায়েত দপ্তরে। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা এই উদ্যোগ কতজনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তার ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিচার করে তা তুলে দেবে পঞ্চায়েত দপ্তরের পোর্টালে।
পঞ্চায়েতগুলি এই সমস্ত কাজকে মডেল হিসেবে সামনে রেখে যাতে এই ধরনের উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত হয়। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতকে রাজ্যের তরফে দেওয়া হবে একটি শংসাপত্রও। একইভাবে পঞ্চায়েত সমিতি কোনও উদ্যোগ নিলে তার প্রাথমিক মূল্যায়ন করবে জেলা পরিষদ। আর জেলা পরিষদের ক্ষেত্রে এই দায়িত্ব থাকবে দপ্তরের উপর।
Comments are closed.