উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হাইকোর্টের। নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ পেয়ে ২ জুলাই হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় সাতদিনের মধ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নতুন করে ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই মতো নতুন তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। আদালতে সেই প্রক্রিয়া দেখার পর নিয়োগে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়।
যদিও এদিনও নতুন তালিকায় অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে কমিশনের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী। পাশাপাশি শুক্রবার অতিরিক্ত চার্জশিট জমা পড়েছিল আদালতে। যদিও বিচারক তা গ্রহণ করেননি। কমিশনের পক্ষ থেকে ইন্টারভিউয়ের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেই অনুযায়ী দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি জানান, ৫ বছর ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ রয়েছে আমি চাই না আরও দেরি করা হোক।
সেই সঙ্গে বিচারপতি আরও জানান, ২০১৬ সালে আবেদনকারীর অনেকেরই বয়সসীমা পেরিয়ে গিয়েছি, রাজ্য সরকার ও কমিশনকে অনুরোধ করব তাঁদের জন্য পাঁচ বছর ছাড় দেওয়া হোক।
পাশাপাশি ইন্টারভিউয়ের তালিকা নিয়ে এখনও যাঁদের অভিযোগ রয়েছে তাঁরা দু’সপ্তাহের মধ্যে কমিশনকে জানাতে পারবে। আট সপ্তাহের মধ্যে অভিযোগ খতিয়ে দেখে কমিশনকে লিখিত বা ইমেল মারফত অভিযোগকারীকে জবাব পাঠাতে হবে। কোনও অযোগ্য পার্থী যদি অভিযোগ করে কমিশন চাইলে তাঁকে জরিমানা করতে পারবে বলেও জানায় আদালত।
উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পুজোর আগেই ১৪ হাজার নিয়োগ হবে বলে তিনি জানান। ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশের পরেই তাতে অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে বহু চাকরিপ্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হয়। যার জেরে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আদালত।
Comments are closed.