শুভেন্দুকে ঠেকাতে দিদিকে যেতে হল নন্দীগ্রাম, তাহলে বড় নেতা কে? মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

প্রচারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আশাবাদী নাড্ডা জানান, বাংলার মানুষ তৃণমূলকে হারাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ

বড় নেতা কে, মমতা না শুভেন্দু? নন্দীগ্রামে ভোটের ঠিক আগেরদিন এই প্রশ্ন তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বুধবার ধনেখালিতে জনসভা করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। প্রচারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আশাবাদী নাড্ডা জানান, বাংলার মানুষ তৃণমূলকে হারাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। প্রথম দফার ভোটেই তা স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হওয়ায় মমতা ঘাবড়ে গিয়েছেন। তাই তৃণমূল নেতারা কমিশনে নালিশ জানাতে গিয়েছেন।
এবারের বঙ্গ নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার ভোট সেখানে। এদিন ধনেখালির প্রচার মঞ্চে দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রাম বাসীকে বার্তা দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। নন্দীগ্রাম ইস্যুতে মমতাকে নাড্ডা আক্রমণ করে বলেন, জেনে রাখুন মমতাদি নন্দীগ্রামে হারছেন। দিদির চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু গ্রহণ করেছে। নন্দীগ্রামের মানুষ স্পষ্ট করে দেবেন, খেলা শেষ হয়েছে। তাঁর কথায়, কমলে ছাপ, বাংলায় তৃণমূল সাফ।
প্রচার সভায় সাধারণের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়লেন, কেন নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে যেতে হল মমতাকে? শুভেন্দু তো নিজের কেন্দ্র ছেড়ে আপনার কেন্দ্রে আসেননি? শুভেন্দুকে আটকাতে আপনাকেই নন্দীগ্রাম যেতে হল! তাহলে বড় নেতা কে?
নাড্ডা আরও বলেন, রাজ্যে একের পর এক পাট শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। ১০ বছরে কোনো শিল্পের উন্মোচন হয়নি। মমতা দিদি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। মা-মাটি-মানুষের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা।
অযোধ্যায় রাম মন্দির নিয়েও এদিন মুখ খোলেন নাড্ডা। মমতাকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, রাম মন্দির শিলান্যাসের দিন বাংলায় কারফিউ হল কেন? দূর্গাপূজার বিসর্জনে বাঁধা দেওয়া হল কেন?
নাড্ডার এই দাবি ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে বিজেপি সভাপতি প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলতে পারেন, রামমন্দির শিলান্যাসে বাংলায় কারফিউ জারি করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি? তৃণমূলের দাবি, ভোটে ভরাডুবি নিশ্চিত জেনেই এবার মরিয়া হয়ে মেরুকরণের নোংরা খেলায় নেমেছে বিজেপি। বাংলার মানুষ বিজেপিকে জবাব দেবে, বলছেন তৃণমূল নেতারা।

Comments are closed.