লম্বা দাড়ি, হলুদ জামা পরলে কেউ রবীন্দ্রনাথ হন না, বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে গ্রেফতার করা উচিত, মোদী-শাহ-দিলীপকে তীব্র আক্রমণ কাকলির
লম্বা দাড়ি রেখে আর হলুদ জামা পরলেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না। তাঁর চেয়ারে বসলেও নয়। মিথ্যাবাদী বিজেপির রাষ্ট্রনেতারা দেশটাকে হার্মাদ বাহিনির আস্তানা বানিয়েছেন। এভাবেই নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বেনজির আক্রমণ শানালেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। শুধু তাই নয়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও এদিন নিশানা করেন কাকলি। শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক থেকে সাংসদের তোপ, হিংসাশ্রয়ী দলের হিংসাশ্রয়ী মানুষ উনি (দিলীপ ঘোষ)। একজন গুণ্ডা, শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন, প্রতিনিয়ত হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন। এভাবে হুমকি দেওয়া ও হিংসা ছড়ানোর জন্য ওনাকে গ্রেফতার করা উচিত, মন্তব্য কাকলি ঘোষ দস্তিদারের।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর শতবর্ষ পালন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বক্তৃতায় মিথ্যা তথ্য দেওয়া এবং শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে চেয়ারে বসতেন সেই সংরক্ষিত আসনে অমিত শাহ বসেছেন বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। সেই রেশ টেনে এদিন মোদী ও শাহকে তীব্র আক্রমণ শানান কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গে মাঝেমধ্যেই পর্যটকরা আসছেন, তাঁরা আসতেই পারেন। কিন্তু বাংলার মনীষীদেরও তাঁরা আক্রমণ করছেন। এই ‘ভ্রমণপিপাসু বহিরাগত’দের তীব্র নিন্দা করছি। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেন বিজেপি বিরোধী বলে শান্তিনিকতনে তাঁর আবাস স্থল নিয়ে মিথ্যে প্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর দাবি, বাংলার মানুষের আর কোনও চাহিদা নেই। কারণ সব কাজ করেছে মমতা সরকার। কিন্তু ১০০ শতাংশ কাজ তো করা যায় না। সেইটুকু অংশ নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করছে বিজেপি। তিনি যোগ করেন, বিজেপির ‘পরিব্রাজক, পর্যটক’ নেতারা মিথ্যাবাদী। কোনও রাষ্ট্রনেতা যদি অসৎ উপায়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মিথ্যাচার করেন তাতে দেশের অকল্যাণ হয়।
যে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বারবার আঙুল তুলছে বিজেপি তা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির চেয়ে অনেক ভালো বলে দাবি করেন কাকলি। তাঁর কথায়, গুড গভর্ন্যান্স কাকে বলে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দেখিয়ে দিয়েছেন। এখন ভোটের সময় মিথ্যা ও অপপ্রচার করে বাংলার মনুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন বিজেপি নেতারা। নাম না করে অমিত শাহকে কাকলির কটাক্ষ, ভোট নিয়ে ওনার একটা ভবিষ্যদ্বাণীও মেলে না, তিনি নাকি খুব বড় নেতা! বলেন, লোকসভা ভোটের সঙ্গে পরে বিভিন্ন রাজ্যের ভোটের ফলাফলের তুলনা করলে দেখা যাবে সর্বত্র বিজেপির ভোট কমেছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যা কথা বলছেন উনি।
Comments are closed.