রাজ্য রাজধানীতে সংক্রমণ যে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে তা কলকাতার ব্রডবেসড কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ১৭ থেকে ৭ এ নেমে আসাতেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া কয়েকটি জেলাতেও করোনা পরিস্থিতির উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। পুরো চিত্রটাই আতঙ্কের নয় তা বোঝা যাচ্ছে সুস্থতার হারেও। যদিও কয়েকটি জেলায় সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত রাজ্য প্রশাসন।
দেখুন কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জোনের তালিকা
২৮ অগাস্ট রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট ‘এগিয়ে বাংলা’য় প্রকাশিত তথ্য বলছে, রাজ্যজুড়ে ব্রডবেসড কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা এখন ২,৫৯৮ টি। এর মধ্যে সবচেয়ে কম কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে ঝাড়্গ্রামে, মাত্র একটি। তবে আগে এই জেলায় কোনও কন্টেইনমেন্ট ছিল না। অন্যদিকে পশ্চিম বর্ধমানে সংক্রমণ মাত্রা কমে আসায়, ২৮ অগাস্ট দেওয়া তথ্যে সরকার জানাচ্ছে সেখানে আর একটিও কন্টেইনমেন্ট জোন নেই। কিন্তু নদিয়া জেলায় করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী, কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৫৪। এরপরেই সবচেয়ে বেশি কন্টেইনমেন্ট জোন আছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়, ৩৯৯ টি। তারপর ৩৫১ টি কন্টেইনমেন্ট জোন আছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। পাশাপাশি সংক্রমিত ও মৃত্যুর নিরিখে সংক্রমণের শীর্ষে এখন উত্তর ২৪ পরগনা। ওই জেলায় ৩২ হাজার ৩৪৪ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭১১ জনের। তাছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৭৩০ জন। হাওড়ায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ১৩,০২২ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫৬ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১০,৭৭৪ জন মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১৮৯ জনের। হুগলিতেও সংক্রমিতের সংখ্যা ৭,২৯৪ জন। মারা গিয়েছেন ১২৫ জন।
ফলত এই জেলাওয়াড়ি কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাও বেশি। যেমন হাওড়ায় ৮১ টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫৪ টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ৭৫ টি কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। এছাড়া কোচবিহারে ২৫০, পুরুলিয়ায় ২২৪, বীরভূমে ১২৭ টি কন্টেইনমেন্ট জোন আছে। এছাড়া যে জেলাগুলিতে কম সংখ্যক কন্টেইনমেন্ট জোন আছে সেগুলি হল- মালদা ৪ টি, দার্জিলিঙ ৭ টি, জলপাইগুড়ি ১৪ টি, হুগলি ১৮ টি, পূর্ব মেদিনীপুর ২৬ টি, বাঁকুড়া ৪৬ টি এবং মুর্শিদাবাদে ৬৫ টি।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নতুন করে ২,৯৮২ জন সংক্রমিত হওয়ায় রাজ্যে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৫৪ জনে। তবে এর পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে জয় করছেন ৩ হাজার ২৮৬ জন। যার জেরে মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা বাংলায় দাঁড়াল ১ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৩২ জন। সুস্থতার হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৮০.৮৬ শতাংশ। রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৩৪৯ জন।
Comments are closed.