মিনিটের মধ্যে ২ কোটির জমির দাম বেড়ে সাড়ে ১৮ কোটি টাকা! কাঠগড়ায় রাম মন্দির ট্রাস্টের চম্পত রাই

রাম মন্দির নির্মাণে বড় দুর্নীতির অভিযোগ। আপ ও সমাজবাদী পার্টির তরফে চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। ঘটনায় তোলপাড় দেশে।

কয়েক মিনিটের মধ্যে ২ কোটি থেকে ১৮ কোটি হয়ে গিয়েছে জমির দাম। সেই প্রেক্ষিতেই জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে গেল রাম মন্দির ট্রাস্টের। ট্রাস্টের সভাপতি চম্পত রাই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাম মন্দির নিয়ে। মোদী সরকারের তৈরি করে দেওয়া রাম মন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগে সরব হল সমাজবাদী পার্টি আর আদমি পার্টি। মন্দির সংলগ্ন একটি জমি ঘিরে অবৈধ চুক্তি করার অভিযোগ তুলেছে এই দুই পার্টি। অভিযোগ, দুই জমি ব্যবসায়ী একজনের কাছ থেকে ২ কোটির টাকায় একটি জমি কেনেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে সেই জমি রাম মন্দির ট্রাস্টের কাছে বিক্রি করা হয়। সমস্যার সূত্রপাত জমির দাম নিয়ে। জমি ব্যবসায়ীরা যে জমি ২ কোটি দিয়ে কিনলেন, সেই জমির দাম কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ১৮.৫ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে বলে আপ, সপার অভিযোগ।

রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট তৈরি করে মোদী সরকার। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অযোধ্যায় রাম মন্দির স্থাপনের নির্দেশ আসার পরেই তৈরি হয় ট্রাস্ট। আর শ্রীরামের নাম করে জনগণের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে সেই টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ আনা হল সেই ট্রাস্টের বিরুদ্ধেই।

উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির নেতা পবন পাণ্ডের অভিযোগ, মন্দিরের পাশে একটি জমি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। যার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন বিজেপি নেতা এবং ট্রাস্টের কয়েকজন সদস্য। বিতর্কিত জমি কেনার জন্য লেনদেনের সাক্ষী ছিলেন অযোধ্যার মেয়র তথা বিজেপি নেতা এবং একজন ট্রাস্টের সদস্য, জানিয়েছেন পবন পাণ্ডে। পুরো ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

একই অভিযোগে সরব হয়েছেন, আপ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। নথিপত্র পেশ করে সঞ্জয়ের দাবি, রাম মন্দির নির্মাণে তৈরি ট্রাস্ট আসলে দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠছে।

সব অভিযোগ ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা তথা ট্রাস্টের সভাপতি চম্পত রাই। বলেন, দশকের পর দশক ধরে নানা ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে। অনেকে আমাদের মহাত্মা গান্ধীর হত্যার জন্যও দায়ী করেছিল। আমরা এইসব অভিযোগকে পাত্তা দিই না। যদিও কোন মন্ত্রে জমির দাম কয়েক মিনিটের মধ্যে ২ কোটি থেকে সাড়ে ১৮ কোটি হয়ে গেল, তার কোন জবাব দেননি চম্পত রাই।

উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে এই বিস্ফোরক অভিযোগের জেরে চাপ বাড়ল যোগী সরকারের। মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Comments are closed.