ডাক্তারি পরীক্ষায় বড় সংস্কারের পটহে রাজ্য সরকার। জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে কয়েক মাস সময় চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশ্বাস দিয়েছিলেন, যেখানে যা দুর্নীতি হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে তা বন্ধ করার চেষ্টা করবেন তিনি। ডাক্তারি পরীক্ষার সময় টোকাটুকি, অনিয়ম ও দুর্নীতি আটকাতে লাইভ স্ট্রিমিং চালু করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।
শীর্ষ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের সময় যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে, সেজন্য বারবার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি জানিয়ে আসছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই স্বচ্ছতা ইস্যুকে সামনে রেখেই ডাক্তারি পরীক্ষায় লাইভ স্ট্রিমিং চালুর ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। কোনও কেন্দ্রে চলা পরীক্ষা যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট সংরক্ষিত কক্ষ থেকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে দেখা যায়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ডাক্তারির মতো স্পর্শকাতর পরীক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে ১৩ দফা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে হওয়া ৩০ অক্টোবরের বৈঠকে এই এসওপি নেওয়া হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরীক্ষা কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। পরীক্ষার হলের ফুটেজ রোজ পাঠাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন দিনের মধ্যে সেই ফুটেজ পৌঁছতে হবে। পরীক্ষক নিয়োগ, পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময় কড়াকড়ি (ফ্রিস্কিং) সহ অজস্র বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে এই নির্দেশনামায়। প্রশ্নপত্র ছাপা, প্রশ্নপত্র খোলা সহ অজস্র স্পর্শকাতর বিষয়ে গোটাটাই সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। বাথরুমে যাওয়ার নাম করে টোকাটুকি এবং অনিয়ম রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওবার কথা বলা হয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর প্রথম আধঘণ্টা এবং শেষ আধঘণ্টায় কোনও পরীক্ষার্থীকে বাথরুমে যেতে দেওয়া হবে না।
Comments are closed.