বুলবুল বিধ্বস্ত জেলাগুলিতে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, বেবিফুড ও ওষুধ যেন মেয়াদ দেখে বিলি হয়

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাঁচা বাড়ির দ্রুত পুনর্নির্মাণ করতে হবে বলে, কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার হেলিকপ্টারে করে বুলবুল বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, বকখালি পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর দুপুর ১ টা নাগাদ কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিস্তীর্ণ এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু বাড়ি ভেঙেছে। কৃষকদের সাহাযার্থে ফসলে বিমা ১০০ শতাংশ করার নির্দেশ দেন মমতা। সেই সঙ্গে দ্রুত বাংলার বাড়ি প্রকল্পে ভেঙে পড়া বাড়িগুলি দ্রুত তৈরি করতে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক কর্তাদের তিনি বলেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে হিসেব নিকেশ করতে হবে। কৃষি, মৎস্য ও বিদ্যুৎ দফতরকে আলাদাভাবে সমীক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রত্যেকটি ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় জেলাশাসকের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স গঠনের কথাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। ৪৮ ঘণ্টা অন্তর এই টাস্ক ফোর্সকে নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে মানুষের মধ্যে যেন ত্রাণ নিয়ে কোনও অভিযোগ না ওঠে। তাঁর কথায়, এই সময় খেলা শুরু করতে পারে কিছু সুযোগসন্ধানী। তাই এলাকার শান্তি রক্ষার জন্য দায়িত্ব নিতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। যে কোনও পরিস্থিতি সম্পর্কে টাস্ক ফোর্সকে খবর পৌঁছে দিতে হবে। ত্রাণ শিবির থেকে খাবার বিলি নিয়েও সজাগ থাকার পরামর্শ মমতার। তিনি জানান, বেবিফুড, ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের মেয়াদ দেখে তবেই যেন তা বিলি করা হয়।
এদিন এক শ্রেণির সংবাদমাধ্যমেরও সমালোচনা করে মমতা বলেন, বেশ কিছু সংবাদপত্রে লেখা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়ের পর সবজির দাম বাড়ছে। কিন্তু যেসব বাজারে দাম বাড়েনি তারাও এই খবরের ভিত্তিতে দাম চড়াতে পারে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর দাবি, সবজির চেয়েও ঝড়ের প্রভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান ও পান। সাংবাদিকদের এমন খবর পরিবেশন করতে নিষেধ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

Comments are closed.