২০২১ বিধানসভা ভোটে বাংলা জয়কে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা। বাংলা জিততে কোমর বেঁধে ঝাঁপিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজবাসীর প্রথম পছন্দ মমতা ব্যানার্জিই। বেসরকারি সংস্থা সিনোভাম রিসার্চের পিরিয়ডিক সার্ভেতে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
এ রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে ৩ হাজার ১০০ জনের উপর একটি সমীক্ষা চালায় সংস্থাটি।
প্রশ্ন ছিল, যদি আগামীকাল ভোট হয় কাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইবেন? উত্তরে ৭৯ শতাংশ মানুষ তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির নাম করেছেন। বাংলার দু’বারের মুখ্যমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে রাজ্য যে কোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় দূরদর্শিতা দেখিয়েছে বলে অধিকাংশ উত্তরদাতার মত।
মমতার পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে যাঁকে সবচেয়ে বেশি মানুষ দেখতে চাইছেন, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু শতাংশের বিচারে তাঁর সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির ব্যবধান বিস্তর। মাত্র ১১ শতাংশ উত্তরদাতা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছেন দিলীপ ঘোষকে।
বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণে মমতা ব্যানার্জি ৭৯ শতাংশ মানুষের পছন্দ। ২০ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁদের পছন্দ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
যদি বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় আসে, সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাকে বেছে নেবেন? দিলীপ ঘোষ, বাবুল সুপ্রিয়, রাহুল সিনহা, মুকুল রায় নাকি তথাগত রায়? এই পাঁচটি নামের প্রেক্ষিতে ৪৩ শতাংশের প্রতিক্রিয়া, এঁদের কাউকেই তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পছন্দ নয়।
আমফান দুর্যোগের সময় ত্রাণ নিয়ে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। যদিও সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৫ শতাংশ মানুষ তৃণমূল সরকারেই আস্থা রেখে জানাচ্ছে যে, সরকার পরিচালনায় তারা ‘খুব খুশি’। ৩৭ শতাংশ বলেছে ‘ভালো’ এবং ৫ শতাংশের প্রতিক্রিয়া ‘খুব খারাপ’। অতিমারি করোনা সামলানোর ক্ষেত্রে মোদীর চেয়ে মমতাকে এগিয়ে রাখছেন বেশির ভাগ মানুষ।
এছাড়া ৭১ শতাংশ উত্তরদাতা জানিয়েছে, মমতার আমলে গত দশ বছরে রাজ্যের সবচেয়ে বেশি উন্নতি ঘটেছে কৃষি ক্ষেত্রে। ৬৯ শতাংশ বলছেন শিক্ষা, ৬৪ শতাংশ জানাচ্ছেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে।
Comments are closed.