কী অপরাধ ছিল? কী অন্যায় করেছিলাম আমরা? এত কাজ করেও লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে কেন কোনও আসন পেলাম না? জলপাইগুড়ির ভরা সভায় জনতাকে প্রশ্ন তৃণমূল নেত্রীর। উত্তরবঙ্গবাসীর কাছে মমতার আবেদন, আসন্ন বিধানসভা ভোটে দু’হাত ভরে তাঁদের আশীর্বাদ চান। পাশাপাশি নেতাজিকে উদ্ধৃত করে বললেন, ভুল থাকলে সংশোধন করে নেব। কারণ যে কাজ করে তাঁর ভুল হয়।
জলপাইগুড়ি থেকে মমতার তোপ, ক্ষমতায় যে থাকে সে চেষ্টা করে কাজ করার। আর কাজ করতে গেলে ভুল হয়। কিন্তু যে ক্ষমতায় নেই, তার দায়িত্ববোধের বালাই নেই। এরপরই বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ভোট এলেই মিথ্যে ছড়াতে নেমে পরে। ভোট মিটলে আর দেখা মেলে না। ২০১৯ লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ তুলে প্রকাশ্য সভা থেকে মমতার প্রশ্ন, তাঁর সরকার এত উন্নয়নমূলক কাজ করা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গ থেকে তৃণমূলের একজন প্রার্থীও কেন জিতে দিল্লি যেতে পারলেন না? মমতার কথায়, ‘কী অপরাধ ছিল? কী অন্যায় করেছিলাম আমরা? কেন উত্তরবঙ্গ থেকে একটিও এমপি সিট পাইনি?’ এরপর দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে নেত্রীর প্রশ্ন কেন বিজেপিকে আটকানো গেল না? পাশাপাশি দলকে নেত্রীর বার্তা, পুরনো-নতুন, সবাই মিলেমিশে কাজ করুন। এই যুদ্ধ জিততেই হবে।
‘১৯ এর লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮ টি আসন পেয়ে রাজ্যের শাসক দলের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গে একটি লোকসভা আসনও মমতা ব্যানার্জির দল পায়নি। যে জলপাইগুড়িতে দাঁড়িয়ে মমতা এদিন সভা করলেন সেই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের বিজয়চন্দ্র বর্মণকে বড়ো ব্যবধানে হারিয়ে সাংসদ হন বিজেপির জয়ন্তকুমার রায়। উত্তরবঙ্গ থেকে রাজ্যের দুই মন্ত্রী পিছিয়ে পড়েছেন নিজের নিজের বিধানসভায়।
এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গে দলীয় সভা করলেন তৃণমূল নেত্রী। বার্তা দিলেন দলের মধ্যে সমস্ত ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে উঠে দলের স্বার্থে কাজ করার।
Comments are closed.