দু’জনেই মন্ত্রী পদ হারিয়েছেন। এবার বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে নিয়ে সহানুভূতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির গলায়। মোদী সরকারের মন্ত্রিসভা রদবদল নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরী বিজেপির কী ক্ষতি করল?
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়র ‘ঝালমুড়ি চ্যাপ্টার’ পুরোনো হলেও এখনও মাঝে মাঝেই চর্চায় উঠে আসে। ২০১৫ সালে নজরুল মঞ্চের এক অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে নিজের গাড়িতে বাবুল সুপ্রিয়কে তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ভিক্টরিয়াতে গাড়ি থামিয়ে বাবুলকে ঝালমুড়ি খাওয়ান। যা নিয়ে দলেরই একপক্ষের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া বাবুল সুপ্রিয়কে।
যদিও সেই ‘সৌজন্য’ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। নানান ইস্যুতে বাছা বাছা শব্দবাণে তৃণমূল নেত্রীকে বিঁধেছেন বাবুল সুপ্রিয়। ভোটের মুখে মমতা ব্যানার্জিও আক্রমণ শানিয়েছেন তাঁর দিকে। কিন্তু সে সব অতীত। ভোট মেটার পর বাবুল বেশ চুপচাপ।
তবে মন্ত্রিসভায় জায়গা না পাওয়া নিয়ে কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ধোঁয়া দেখা গেলে কোথাও তো আগুন থাকবেই। হ্যাঁ আমাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে, আমি ইস্তফা দিয়েছি।
এসবের মধ্যেই তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যে অন্যরকম ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের মতে, দেবশ্রী, বাবুলের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে আসলে কৌশলে বিজেপিতেই অসন্তোষকে আরও খানিকটা উস্কে দিতে চেয়েছেন মমতা ব্যানার্জি।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা মন্তব্য করেছেন সদ্য প্রাক্তন স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধনকে নিয়েও। তাঁর দাবি, করোনার ব্যর্থতা নিজের কাঁধ থেকে ঝেড়ে ফেলতেই মোদী হর্ষবর্ধনকে বলি দিলেন।
সবমিলিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে বিজেপিকেই পাল্টা খোঁচা দিলেন মমতা, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
Comments are closed.