শুক্রবার শিলিগুড়িতে মমতার এনআরসি, সিএএ বিরোধী পদযাত্রা, দলের প্রতিষ্ঠার দিনকে নাগরিকত্ব দিবস হিসেবে পালন তৃণমূলের

তৃণমূলের ২২ তম প্রতিষ্ঠা দিবসটিকে বুধবার নাগরিকত্ব দিবস হিসেবে পালন করল শাসকদল। ট্যুইটারে একে কেন্দ্রের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি ও এনপিআর বিরোধী দিবস হিসেবে পালনের ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাঁর নিজস্ব ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে মমতার বার্তা ছিল, ‘আমরা সবাই নাগরিক। মানুষের স্বার্থে আমাদের লড়াই চলছে চলবে।’
এদিকে কলকাতা, হাওড়া, পুরুলিয়ার পর শুক্রবার কেন্দ্রের নতুন নাগরিকত্ব আইন, নাগরিকপঞ্জি  ও জাতীয় জনগণনার বিরুদ্ধে শিলিগুড়িতে পদযাত্রা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গে এই পদযাত্রা গত ২৯ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য সেই কর্মসূচি মুলতুবি রাখেন তৃণমূল নেত্রী। সেই পদযাত্রা হবে শুক্রবার।

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের ফল একেবারেই ভালো হয়নি। অন্যদিকে, অসম এনআরসি-তে প্রায় এক লক্ষ গোর্খার নাম বাদ যাওয়া এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে মমতার নাগাড়ে প্রচারের উপর ভর করে দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গে নিজেদের মাটি শক্ত করতে সচেষ্ট হয়েছে তৃণমূল। এদিকে দক্ষিণবঙ্গের খড়গপুর, কালিয়াগঞ্জ, করিমপুর তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বিজেপির হারের কারণ হিসেবে এনআরসি বিরোধী প্রচারের ভূমিকা কার্যত মেনে নিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরই, মোদী সরকারের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিরোধীদের আন্দোলনে মুখ্যভূমিকা নিয়েছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, এনআরসি ও সিএএ আসলে একই মুদ্রার এপিঠ- ওপিঠ। তার উপর এনপিআরের কাজও আপাতত রাজ্যে স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনের মাধ্যমে ঘাসফুল শিবিরের পাখির চোখ এখন উত্তরবঙ্গ।
এনআরসি, নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদের আবহে ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় হার হয়েছে বিজেপির। মাসখানেক আগে মহারাষ্ট্রও হাতছাড়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। এই পরিপ্রেক্ষিতে এ রাজ্যে বিজেপি-কে চাপে রাখার জন্য এনআরসি ইস্যুকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল। যদিও রাজ্য বিজেপি পাল্টা নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে মানুষকে ‘ভুল বোঝানো হচ্ছে’, এই অভিযোগে পথে নামছে।

Comments are closed.