স্বাদে, গন্ধে বর্ণে ফলের রাজা আমের জুড়ি মেলা ভার। রাজ্যের ন’টি জেলা থেকে আমের পসরা নিয়ে আট’ই জুন থেকে আম উৎসব শুরু হয়েছে নিউটাউন মেলা প্রাঙ্গনে চলবে ১০ জুন অবধি। বিভিন্ন প্রজাতির আমের এই উৎসবে দেখা মিললেও নজর কাড়ছে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার স্টলে ‘ব্যানানা ম্যাঙ্গো’ এবং ‘পুসা অরুনিমা’। অনেকটা কলার আদল রয়েছে বলে নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্যানানা ম্যাঙ্গো এবং ‘পুসা অরুনিমা’ আমের হলুদ বা সবুজ বর্ণের জায়গায় এই আমের রঙ কাঁচা অবস্থায় লালচে সবুজ কিন্তু পেকে গেলে কালচে লাল। পূর্ব বর্ধমান জেলার হর্টিকালচার অফিসার ডঃ কৃষ্ণেন্দু ঘোড়ই জানালেন এই দু’ই ধরনের আম এবার প্রথম আম উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে। এছাড়া এই দু’টি জেলার হিমসাগর,আম্রপালি, রানি পসন্দ, হিমসাগর, চ্যাটার্জি আমের চাহিদাও রয়েছে। ডঃ ঘোড়ই আরও জানালেন নেপাল, দুবাই, ইজরায়েল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, মায়ানমারের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যেই অংশগ্রহণকারী জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। বাংলার আম রপ্তানি হবে বিদেশে। হিমসাগর, ল্যাংড়া, রানিপসন্দ, রফতানি দৌড়ে এগিয়ে আছে।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরন দফতরের ডিরেক্টর জয়ন্ত কুমার আয়কত জানালেন বিদেশের ক্রেতাদের সঙ্গে রাজ্যের বিক্রেতাদের যোগাযোগের সরলীকরণ টা করে দিচ্ছে রাজ্য সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর। জয়ন্তবাবু আরও জানালেন ইজরায়েলের প্রতিনিধি দল ‘প্রোসেসড ম্যাঙ্গো’ বা ‘টিন জাত আমের’ প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। আমের পাশাপাশি আম থেকে তৈরি ‘আম কাসুন্দি’ বা হরেক রকমের মিষ্টি , আম দই মিলছে এই উৎসবে।
মালদহ জেলা থেকে এসছেন দেবরাজ চক্রবর্তী। তিনি জানালেন মালদহ জেলার’ হিমসাগর’,’ লক্ষণ ভোগ’,’গোপালভোগ’ আমের চাহিদা তুঙ্গে। সরাসরি চাষির ঘর থেকে উৎসবে ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে পারছেন বলে লাভের মুখ দেখছেন তাঁরা। একছাদের তলায় এত ধরনের আম দেখে ক্রেতারাও খুশি। আম- আদমির রসনার তৃপ্তিতে আম উৎসবের ভূমিকা যে অনুঘটকের কাজ করে চলেছে সে কথা এক বাক্যে স্বীকার করছেন ক্রেতা- বিক্রেতা সকলে।