ফের রদবদল রাজ্য মন্ত্রিসভায়, সুব্রত, শোভনদেব, রাজীব, ব্রাত্যর দফতরে বদল, দফতর পাচ্ছে শান্তিরাম, বিনয় বর্মণ

ফের রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল, এমনই জল্পনা নবান্ন সূত্রে। সূত্রের খবর, রাজ্য মন্ত্রিসভায় কয়েকজন মন্ত্রীর দফতর পরিবর্তন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরের কিছু পরিবর্তন করা হচ্ছে। তবে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ দফতরেরই দায়িত্বে থাকছেন। দুই দফতরবিহীন মন্ত্রীকে দফতর ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজনের দফতর কমানোও হচ্ছে। প্রশাসনকে আরও গতিশীল করতে মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রীদের দফতরে কিছু পরিবর্তন করতে চলেছেন বলে খবর। কয়েকদিন আগেই নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে কয়েকটি দফতরের কাজকর্ম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
বন দফতরের দায়িত্ব পেতে চলেছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এখন অনগ্রসর ও আদিবাসী কল্যাণ দফতরের দায়িত্বে আছেন। বন দফতরের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এই দফতর চলে গেলেও তাঁর কাছে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও বায়োটেকনোলজি দফতর থাকবে। অনগ্রসর ও আদিবাসী কল্যাণ দফতরের দায়িত্ব পাচ্ছেন বিনয় বর্মণ। বিদ্যুৎ ও অপ্রচলিত শক্তি দফতরের মন্ত্রী এখন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, শোভনদেববাবুর কাছে শুধু বিদ্যুৎ দফতরটি থাকবে। অপ্রচলিত শক্তি দফতরটি পাচ্ছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাত থেকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরটি চলে যাচ্ছে। ওই দফতরটি ফিরে পাচ্ছেন শান্তিরাম মাহাত। তিনি এখন দফতরবিহীন মন্ত্রী।
লোকসভা নির্বাচনের পর মে মাসে রাজ্য মন্ত্রিসভায় কিছু পরিবর্তন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমাঞ্চল দফতর পুরুলিয়ার বলরামপুর শান্তিরাম মাহাতর কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়। কোচবিহারের মাথাভাঙা থেকে নির্বাচিত বন দফতরের দায়িত্বে থাকা বিনয় বর্মণও দফতর হারান।
গত মে মাসে মন্ত্রিসভার পরিবর্তনের সময় সেচ দপ্তরের দায়িত্ব রাজীববাবুর কাছ থেকে নিয়ে তাঁকে অনগ্রসর ও আদিবাসী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী করা হয়। রাজীববাবু এবার বন দপ্তর পেতে পারেন। দ্বিতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক চূড়ামণি মাহাতকে অনগ্রসর কল্যাণ দফতরটি দেওয়া হয়েছিল। গ্রামীণ এলাকা থেকে নির্বাচিত একজন বিধায়ককে ফের অনগ্রসর কল্যাণ দপ্তরে আনা হল।

 

Comments are closed.