মোদীর ধ্যান করা গুহায় থাকতে পারেন আপনিও, দৈনিক ভাড়া ৯৯০ টাকা, রয়েছে বিদ্যুৎ, গরম জল, খাবারের ব্যবস্থা

কেদারনাথের গুহায় ধ্যানমগ্ন মোদীর ছবিতে ছয়লাপ সোশ্যাল মিডিয়া। ২০১৯ সালে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদীর পাহাড়ের গুহায় বসে প্রার্থনা, নজর কেড়েছে মানুষের। মোদীর দেখাদেখি হিমালয়ের কোলে গুহায় বসে ধ্যান করতে চাইছেন আরও অনেকেই। উৎসাহীদের জন্য এবার সুখবর। গুহায় বসে নিভৃতে প্রার্থনা করার সমস্ত সুবন্দোবস্ত করে দেবে সরকারই। মাত্র ৯৯০ টাকা খরচ করলেই মোদীর মতোই গুহায় ধ্যান করতে পারবেন আপনিও। এমনটাই জানাচ্ছে সরকারি সূত্র।
রুদ্র মেডিটেশন কেভ, গড়ওয়াল মন্ডল বিকাশ নিগমের এই প্রকল্প তৈরি করা হয়েছিল সাধারণ মানুষকে পাহাড় চূড়ায় সাধনা করার সুযোগ করে দিতে। গত বছর থেকেই কেদারনাথ মন্দির চত্বরের এক কিলোমিটার দূরে এই প্রকল্প শুরু করে রাজ্য সরকার। শুরুতে প্রতিটি গুহার জন্য দৈনিক ৩ হাজার টাকা ভাড়া ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু সাড়া মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে ভাড়া কমিয়ে দৈনিক ৯৯০ টাকা করা হয়েছে। সাড়া পেতে বদল আনা হয়েছে আরও বেশ কিছু সরকারি নিয়মেও।
অত্যাধুনিক এই গুহাগুলিতে এক কথায় বলতে গেলে রয়েছে স্টেট অফ আর্ট বন্দোবস্ত। কাঠের দরজাওয়ালা পাথরের গুহায় রয়েছে বিদ্যুতের ব্যবস্থা, পানীয় জল এবং আধুনিক বাথরুম। গাড়ওয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগমের পক্ষ থেকেই প্রাতঃরাশ, দুপুর এবং রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। দিনে দু’বার গরম চায়ের পেয়ালাও পৌঁছে যায় গুহায়। আপনার ফাইফরমাস খাটার জন্য ২৪ ঘণ্টা মজুত পরিচারক। কলিং বেল বাজালেই সে হাজির।
এই ধরনের গুহা তৈরির মূল উদ্দেশ্য, মানুষকে ধ্যান করতে উৎসাহ দেওয়া। সে কথা মাথায় রেখেই কেদারনাথ মন্দির থেকে বেশ খানিকটা দূরে এই গুহাগুলো তৈরি করা হয়েছে। যাতে মন্দিরের হই হট্টগোলে তপস্যায় ব্যাঘাত না ঘটে। গুহায় অবশ্য মোবাইল নিষিদ্ধ। কিন্তু গুহাতেই রয়েছে একটি টেলিফোন। যে কোনও প্রয়োজনে সেই ফোন ব্যবহার করতে পারবেন ধ্যান করতে গুহা ভাড়া নেওয়া লোকেরা।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় হিমালয়ের কোলে নিভৃতে ধ্যান করতে চাইলে আপনার সহজ পছন্দ হতেই পারে কেদারনাথের গুহা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কল্যানে যে গুহার ছিমছাম অন্দর চিত্রও ইতিমধ্যেই ভাইরাল। যা দেখে নেটিজেনদের মধ্যে গুঞ্জন, সহজে সাধনার এমন পথই তো চাই!

Comments are closed.