অর্থের যোগান নেই। কিন্তু ঋণের বোঝা দিন দিন বেড়েই চলেছে। শেষে আর না পেরে আপাতত কয়েক মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল দুর্গাপুরের মোহনবাগান অ্যাকাডেমি। ২০০৩ সালের ২০ জুলাই পথ চলা শুরু মোহনবাগান সেইল অ্যাকাডেমির। সেইল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ জোন এলাকায় পাঁচ একর জমির উপর গড়ে উঠেছিল এই অ্যাকাডেমি। অ্যাকাডেমিতে ছিল নিজস্ব মাঠ, জিম, ফুটবলারদের থাকার জায়গা। ফুটবলারদের থাকার জন্য ২৫ টি ঘরও ছিল এই অ্যাকাডেমিতে। ফুটবলারদের পড়াশোনার ব্যবস্থাও ছিল এই অ্যাকাডেমিতে। এখানে প্রশিক্ষণ নেওয়া বহু ফুটবলার ভারতের বড় দলগুলোয় দাপিয়ে খেলেছেন। প্রণয় হালদার, শৌভিক চক্রবর্তী, ভাসুমরা তো ভারতীয় ফুটবলের পরিচিত নাম।
কিন্তু শেষ কয়েক বছর থেকেই ধুঁকছিল মোহনবাগান অ্যাকাডেমি। টানা ১৬ বছর ধরে অর্থ জোগাড় করে অ্যাকাডেমি চালাচ্ছিলেন এর কর্ণধার এবং দুর্গাপুরের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট তপন রায়। কিন্তু মন্দার বাজারে তিনিও আর অর্থ জোগাড় করতে পারছিলেন না। আর মোহনবাগান কর্তারা স্পনসর না থাকায় সিনিয়র টিম চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন। তাঁরাও আর দুর্গাপুরের অ্যাকাডেমিতে বিনিয়োগ করতে পারছিলেন না। তাই বেড়েই চলছিল ঋণের পরিমাণ। শেষ পর্যন্ত ৫০ লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা চেপে বসে অ্যাকাডেমির ঘাড়ে। যত্নের অভাবে ভেঙে পড়ছিল অ্যাকাডেমির ঘরের দেওয়াল। অ্যাকাডেমিতে প্রায় ৪৫ জন ফুটবলার ছিলেন। তাঁদের পেছনে প্রতি মাসে খরচ হয় ৭ লক্ষ টাকা। বিপুল পরিমাণ টাকা জোগাড় না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কয়েক মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেল মোহনবাগান অ্যাকাডেমি।
Comments are closed.