চট্টগ্রামে আয়োজিত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জয়ে ফিরল মোহনবাগান। বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হারালো গতবারের চ্যাম্পিয়ন টিসি স্পোর্টসকে। মোহনবাগান জিতল ২-০ গোলে। এদিন সবুজ মেরুনের হয়ে গোল দুটি করেন ড্যানিয়েল সাইরাস এবং সালভা চামোরো।
প্রথম ম্যাচে মোহনবাগান হেরেছিল ইয়ং এলিফ্যান্ট এফসির কাছে। তাই বুধবারের ম্যাচ ছিল মোহনবাগানের কাছে ডু অর ডাই। সেমিফাইনালে পৌঁছতে গেলে জিততে হতো মোহনবাগানকে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল মোহনবাগান।
প্রথম ম্যাচের থেকে বুধবারের দলে বেশ কিছু পরিবর্তন করেছিলেন মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ কিবু ভিকুনা। প্রথম ম্যাচে ইয়ং এলিফ্যান্ট এর বিরুদ্ধে রক্ষণ ডুবিয়েছিল মোহনবাগানকে। তাই এদিন জোড়া বিদেশি ডিফেন্ডারকে রক্ষণে রেখেছিলেন মোহনবাগান কোচ। ত্রিনিদাদের স্টপার ড্যানিয়েল সাইরাসের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন স্প্যানিশ স্টপার মোরানতে। ম্যাচের শুরুতেই চোট পেয়ে বেরিয়ে যান মোহনবাগান সাইড ব্যাক গুরজিন্দর সিংহ। বদলে মাঠে আসেন ধনচন্দ্র সিংহ। ম্যাচের চার মিনিটে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। জুলেনের পাস থেকে গোল করেন সাইরাস। ১৮ মিনিটে শিলটন ডিসিলভার শট পোস্টে না লাগলে ব্যবধান বাড়াতে পারত মোহনবাগান। এছাড়াও প্রথমার্ধে আরও বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেন সবুজ মেরুন ফুটবলাররা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য ঝাঁপায় মোহনবাগান। ৫৯ মিনিটে মোহনবাগানের স্প্যানিশ স্ট্রাইকার সালভা চামোরোর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তাতে অবশ্য মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোল পাওয়া আটকানো যায়নি। সেই সালভাই গোল করে ৬৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৮৩ মিনিটে মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার নেপালের স্ট্রাইকার বিমল ঘরতি মগরের শট রুখে দেন মোহনবাগান গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার। শেষ পর্যন্ত জিতেই মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান।
Comments are closed.