কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে রবিবারও চলবে বৃষ্টি, উত্তরে বন্যা পরিস্থিতি, মালদায় শুরু নদী ভাঙন

আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস।

রবিবার দুপুরের পর মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় হয়ে দক্ষিণে সরে গিয়েছে। যা বাঁকুড়া ও দিঘার উপর দিয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে। বাংলাদেশ সংলগ্ন হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে শহরেও।

এদিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ, ফলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ছিল। বিকেলের পর শহর কলকাতায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

এদিকে ব্যাপক বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রবিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি জেলায়। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। ইতিমধ্যেই মহানন্দার জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। পাহাড়ের বহু জায়গায় ধস নেমেছে। প্রাণহানির খবর না মিললেও এলাকার বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে গঙ্গা ও ফুলহার নদীতে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে মালদহের রতুয়া এবং  মানিকচকে। ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে কয়েকশো বিঘা কৃষি জমি ও প্রচুর আমবাগান। জল বাড়ছে গঙ্গাতেও। আতঙ্কে ওই অঞ্চলের ৫-৬ টি গ্রামের বাসিন্দারা। বন্যা আতঙ্ক মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমাতেও। গত কয়েকদিন ধরে বীরভূমেও টানা বৃষ্টি চলছে। তার ফলে ময়ূরাক্ষী, দ্বারকা, অজয়, কুঁয়ে, হিংলো নদীর জল বেড়েছে।

Comments are closed.