ফের বিতর্কের কেন্দ্রে বিশ্বভারতী। প্রবেশিকা পরীক্ষায় মোট নম্বর ১০০ মধ্যে কেউ পেলেন ১৫৭, আবার কারোর প্রাপ্তি ১৯৬। মেধাতালিকা প্রকাশের পরেই কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এডুকেশনে এম. এড কোর্সের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা ছিল। মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর বিনয় ভবন থেকে সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত মেধাতালিকায় দেখা যায়, ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় একজন পেয়েছেন ১৫১, আরেকজনের নম্বর ১৯৬! মেধাতালিকায় এ ধরনের নম্বর বিভ্রাট দেখে চক্ষু ছানাবড়া ছাত্রছাত্রীদের। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, এ ধরনের ভুল কী করে সম্ভব! পুরোটাই কী অনিচ্ছাকৃত নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ?
ছাত্রছাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, মেধাতালিকা প্রকাশে কারচুপি করতে গিয়েই এই গণ্ডগোল। তাঁদের দাবি, বহু দিন ধরেই মোটা টাকার বিনিময়ে উচ্চ শিক্ষার কোর্সগুলোতে বাইরের পড়ুয়াদের ভর্তি করানোর একটি চক্র কাজ করছে অনেক দিন ধরেই। যার জেরে বিশ্বভারতীর প্রকৃত মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এবারেও তেমনই অভিসন্ধি নিয়ে মেধা তালিকা প্রস্তুত করতে গিয়েই এই বিপত্তি।
শুধু নম্বর বিভ্রাটই নয়, এডুকেসেনে এম.এড কোর্সের জন্য ৩০ টি মতন সিট রয়েছে। সেখানে তালিকায় নাম প্রকাশ করা হয়েছে ৪৩ জনের। যা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যদিও এনিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
Comments are closed.