ফের স্কুলশিক্ষায় ফিরতে চলেছে পাশ-ফেল ব্যবস্থা। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় পাশ করা বাধ্যতামূলক হচ্ছে। অকৃতকার্যদের জন্য থাকছে দু’মাস পর ফের পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হতে না পারলে থেকে যেতে হবে পুরনো ক্লাসে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে শিক্ষামন্ত্রক।
পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত স্কুলে এই নিয়ম কার্যকর হবে কি না, সোমবার পর্যন্ত তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানিয়েছে, ২০১৯ সালেই পশ্চিমবঙ্গের স্কুলশিক্ষায় এই নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তবে শিক্ষকদের বক্তব্য, পাঁচ বছর আগে বিজ্ঞপ্তি জারি হলেও তা রূপায়িত হয়নি।
কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, অকৃতকার্য পড়ুয়াকে পড়াশোনায় বিশেষ সহায়তা করবেন সংশ্লিষ্ট শ্রেণি-শিক্ষক। খামতি চিহ্নিত করে তা দূর করতে সাহায্য করবেন তিনি। প্রয়োজনে পরামর্শ দেবেন অভিভাবককে। গোটা বিষয়টির উপর নজর রাখবেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তবে দু’মাস পর পুনর্মূল্যায়নে পাশ না করতে পারলে উঁচু ক্লাসে তোলা হবে না।
শিক্ষামন্ত্রকের এক কর্তা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত তিন হাজারের বেশি স্কুলে চালু হতে চলেছে এই নিয়ম। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় এবং সৈনিক স্কুলগুলি নয়া নিয়মের আওতায় থাকছে। ২০১০ সালে ‘শিক্ষার অধিকার’ আইনের ভিত্তিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন মহল এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে।
Comments are closed.