রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম বড় নাম শান্তিনিকেতন। এবার পৌষমেলার ‘মহাযজ্ঞ’ আয়োজন করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ঐতিহ্যবাহী এই মেলা দেখতে এবারও পূর্বপল্লির মাঠে দর্শনার্থীদের ভিড় সামলাতে পুলিসের জেরবার অবস্থা। উপরন্তু এদিন ছিল বড়দিন।
তাই একদিকে পৌষ মেলা, অন্যদিকে বড়দিন, শান্তিনিকেতনে পর্যটকদের ঢল। পূর্বপল্লির পৌষমেলার মাঠ থেকে শুরু করে সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট, বুধবার সর্বত্র দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় হল। পৌষমেলা দেখার পাশাপাশি বড়দিনের ছুটিতে পিকনিকেও মাতলেন অনেকে।
বল্লভপুর, কোপাই নদীর পাড়, অজয়ের চর সহ বিভিন্ন জায়গায় পর্যটকরা পিকনিকে মাতলেন। সকাল থেকেই সতীপীঠ কঙ্কালীতলা মন্দিরে পুজো দিতে লম্বা লাইন পড়ে যায়। মেলা ও বড়দিন উপলক্ষ্যে ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খায় পুলিস। পিকনিক স্পটগুলিতে বাড়তি নজর ছিল মহকুমা পুলিস-প্রশাসনের।
শান্তিনিকেতনে আসার জন্য বন্দে ভারত, শান্তিনিকেতন, কবিগুরু এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। হাজার হাজার পর্যটক আসায় শান্তিনিকেতন রোড কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। মেলা যাওয়ার রাস্তা ছাড়া স্টেশন রোড থেকে ট্যুরিস্ট লজ মোড় ও শ্যামবাটি থেকে সোনাঝুরি যাওয়ার রাস্তাগুলি পর্যটকের গাড়িতে ঠাসা ছিল। শুধু পৌষমেলা দেখতে নয়, সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট, বল্লভপুর অভয়ারণ্য সংলগ্ন আমার কুটির, পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের সৃজনী শিল্পগ্রাম, গোয়ালপাড়ার কোপাই নদী সংলগ্ন শিল্পীহাট, ইলামবাজারের আমখই ফসিলস পার্ক প্রভৃতি জায়গায় পর্যটকরা ঘুরে দেখার পাশাপাশি স্থানীয় হস্তশিল্প সামগ্রী কেনেন।
Comments are closed.