ফের আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে। এবার গুজরাতের আহমেদাবাদের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে ১ হাজার ২০৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ উঠল। বুধবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘটনার কথা জানিয়েছে পিএনবি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে নীরব মোদী থেকে মেহুল চোকসি একাধিক শিল্পপতি ও শিল্প সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে পিএনবি। এবার যে সংস্থার বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ উঠেছে তার নাম সিনট্যাক্স ইন্ডাস্ট্রি প্রাইভেট লিমিটেড। রাসায়নিক ও পোশাক তৈরির ব্যবসা করা সংস্থাটি সিনট্যাক্স গ্রুপের অংশ। যাদের প্লাস্টিক ওয়াটার ট্যাঙ্ক দেশে বহুল ব্যবহৃত হয়। তবে ২০১৭ সালের পর থেকে সিনট্যাক্স ইন্ডাস্ট্রি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে এর আর যোগ নেই।
পিএনবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আহমেদাবাদের জোনাল কর্পোরেট শাখা থেকে প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছিল এই সংস্থাকে। কিন্তু তা এখনও ফেরত পাওয়া যায়নি। বদলে গত ডিসেম্বরে সেই ঋণ ফেরতের ধরণ বদলাতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল সিনট্যাক্স প্রাইভেট লিমিটেড। স্বাভাবিকভাবেই তা মঞ্জুর হয়নি।
বুধবার ব্যাঙ্কের তরফে জারি করা রেগুলেটরিতে জানানো হয়েছে, তারা এই অনাদায়ী ঋণের জন্য ২১৫.২১ কোটি টাকা প্রভিশন রেখেছিল। আরবিআই-এর নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সংস্থাকে ঋণদানের সময় প্রভিশন রাখা বাধ্যতামূলক। কোন ঋণের জন্য কত টাকা প্রভিশন রাখা হবে, তা সেই ব্যাঙ্ক সিদ্ধান্ত নেবে। এ নিয়েও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। সেটা হল, ব্যাঙ্ক কোনও ঋণের পরিবর্তে নিজেদের আয়ের একটা অংশ গচ্ছিত রাখে। যতদিন না ঋণ শোধ হচ্ছে, সেই অর্থ তারা খরচ করতে পারে না। এমনকী লাভ হিসেবেও দেখানো সম্ভব নয়। ফলে ঋণ অনাদায়ী থাকলে, ব্যাঙ্কের এই অর্থ ব্যবহার করা হয়। এর ফলে ওই ব্যাঙ্কেরই ক্ষতি হয়। অতিমারি ও লকডাউনের জেরে এখন বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের আর্থিক ব্যবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে অনাদায়ী ঋণের অর্থ ফেরানোর চেষ্টা করছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। সেই সময় সামনে এল এই বিরাট আর্থিক জালিয়াতির ঘটনা।
Comments are closed.