ট্যাবের টাকা প্রতারণা চক্রের হদিশ করতে লাগাতার তদন্তে পুলিশ। পুলিশ জানাচ্ছে, ট্যাব কাণ্ডের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে স্কুলেই। পড়ুয়াদের তালিকা স্কুল কর্তৃপক্ষ যখন আপলোড করছিল, সেই সময় সমান্তরালভাবে সেই তালিকা বদলে দিয়েছে হ্যাকাররা। দু’টির রিয়েল টাইম এক থাকায় একই সময়ে যে প্রতারণা হয়েছে, সে বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত তদন্তকারীরা।
পাশাপাশি স্কুলের কোনও কর্মীর মাধ্যমে এই তথ্য বাইরে গিয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। যে সমস্ত স্কুল প্রতারণার শিকার হয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে এই সংক্রান্ত তথ্য তলব করেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা।
বিকাশ ভবনে স্কুল শিক্ষাদপ্তরের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন, পড়ুয়ারা আবেদন করার পর সেই তালিকা প্রধান শিক্ষকের কাছে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রাপকদের তালিকা পোর্টালে আপলোড করে। এরপর একটি ভার্চুয়াল সার্টিফিকেট ইস্যু হয়। তারপর আসে ওটিপি। সেটি ইনপুট করলে পুরো সিস্টেম লক হয়ে যায়। স্কুলের তরফে নামের তালিকা পাঠানো হয় এসআইয়ের কাছে।
সেখানে পরীক্ষার পর তা যায় ডিআইয়ের টেবিলে। এসআই বা ডিআই অফিসের নজরে কোনও ভুল ধরা পড়লে ওই তালিকা আবার ফেরত পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট স্কুলে। কারণ সিস্টেম আনলক করার ক্ষমতা তাদের নেই। ডিআই অফিসে তালিকা পৌঁছনোর পর তারা অর্থদপ্তরে আপলোড করে। অর্থদপ্তর টাকা ইস্যু করে।
যে সমস্ত স্কুল থেকে টাকা উধাও হয়েছে, সেখানে কখন ডেটা আপলোড করা হয়েছে, তার সময় দেখা হয়। অফিসারদের নজরে এসেছে, যে সময় ডেটা আপলোড হয়েছে, ওই সময়েই তথ্য বদলে দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.