তিন দিনের বদলে এবার পৌষমেলা হবে ৬ দিনের। সপ্তম দিন মাঠ পরিষ্কারের কাজ শুরু হবে। সম্প্রতি বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য ও বীরভূম জেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা। এ বছর ‘পরিবেশবান্ধব’ পৌষমেলা করতে উদ্যোগী হয়েছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী।
পরিবেশ আদালতের নির্দেশিকা মেনে পৌষমেলা করার ব্যাপারে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জল, বিদ্যুৎ, নিকাশি, নিরাপত্তার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চাওয়া হয়। আর্থিক প্রতারণা বা তছরুপ যাতে না হয়, সে জন্য অনলাইনে পৌষমেলার স্টলের জন্য প্লট বুক করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চার বছর পরে ফিরছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। শান্তিনিকেতন ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ হওয়ার পরে এই প্রথম হচ্ছে মেলা। তাই বাড়তি উন্মাদনা রয়েছে সকলের মধ্যে৷ এ দিনের বৈঠকে পৌরোহিত্য করেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সরেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৈঠকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ, এসআরডিএ চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা–সহ আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা এবং পৌষ উৎসব দুটোই হবে।
এবার মেলায় প্লাস্টিক মুক্ত এবং নিয়ন্ত্রিত শব্দ সম্প্রচার, বায়োটয়লেটের ব্যবহার সহ এক পরিবেশ বান্ধব মেলা হতে চলেছে। ২০১৯ সালের পর এই ঐতিহ্যবাহী মেলা নিয়ে অনেকেই আশাবাদী।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ট্রাস্ট ডিড অনুযায়ী প্রতি বছর ৭ ই পৌষ শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট একটি মেলার আয়োজন করে।
Comments are closed.