রোগীকে নিয়ে বিভিন্ন নার্সিংহোমের দোরে দোরে হত্যে দিয়েও মেলেনি বেড। চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু হয়েছে রোগীর। করোনা পর্বে দিল্লিতে এই অভিযোগ ঘিরে তোলপাড়। বুধবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীও বলেছিলেন শুনতে লজ্জা লাগে কোনও সিনিয়র ডাক্তারকে চিকিৎসা পেতে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে। সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মুখ্যসচিব বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
বৃহস্পতিবার সেই বৈঠক শেষে মুখ্যসচিব জানালেন, বেড সমস্যা যাতে রাজ্যে না হয় তার জন্য প্রতিটি হাসপাতালকে কত বেড খালি আছে তা বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশ্যে ডিসপ্লে করতে হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটেও সেই তথ্য দিতে হবে। এজন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। রাজীবা সিনহা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধে ৭ টার মধ্যে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে কত কোভিড বেড খালি আছে তা উঠে যাবে স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে। শুক্রবার সকাল ১১ টার মধ্যে সেই তথ্য দিতে হবে সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালকেও। শুধু বেড পাওয়াই নয়, মুখ্যসচিব এদিন বলেন, অভিযোগ আসছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচও কমাতে হবে। তিনি বলেন, রোগীর কাছ থেকে ডাক্তার বা নার্সদের ব্যবহারের পিপিইর দামও নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। এটা করা যাবে না। তাঁর সাফ কথা, রোগীর পরিবারের উপর সমস্ত খরচ চাপানো চলবে না। পাশাপাশি এক একটি জায়গায় কোভিড পরীক্ষার জন্য এক একরকম দাম নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রেও দামের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
মুখ্যসচিব জানান, এই মুহূর্তে রাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলোতে ১০ হাজার বেড আছে। তার মধ্যে ৮ হাজার খালি। একইভাবে কলকাতা শহরের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ১ হাজার বেড আছে, তার মধ্যে অর্ধেক খালি।
কোনও কোভিড রোগীকে ফেরানো যাবে না বলেও মুখ্যসচিব এদিন নির্দেশ দেন। রোগী ফেরালে রাজ্যের ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সংস্থানের কথাও মনে করিয়ে দেন রাজীবা সিনহা।
Comments are closed.