বিজেপি সরকারের নয়া নাগরিকত্ব আইন অযৌক্তিক, অনৈতিক এবং ভুল সময়ে আনা হয়েছে বলে কটাক্ষ করলেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ।
সোমবার ইংরেজি সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইতিহাসবিদ ধর্মীয় ভিত্তিতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের শরণার্থীদের এ দেশের নাগরিকত্ব প্রদানের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে ব্যাখ্যা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন শ্রীলঙ্কায় তামিল সম্প্রদায়ের মানুষকে এই আইনের আওতায় আনা হল না।
কেন তিনি কেন্দ্রের নাগরিকত্ব আইনকে অযৌক্তিক বলছেন, এর উত্তরে রামচন্দ্র জানান, দেশজুড়ে এখন অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে, কাজ নেই, কৃষক অসন্তোষ বাড়ছে, পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে। এই সময় দাঁড়িয়ে সিএএ- এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যুক্তিযুক্ত এবং সরকারের উচিত পিছু হঠা। দেশজুড়ে ছাত্র বিক্ষোভ প্রমাণ করছে, তারা সরকারের প্রতি কতটা ক্ষুব্ধ, মন্তব্য ইতিহাসবিদের। তাঁর কথায়, এই একুশ শতকের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সময়ে দাঁড়িয়ে সরকার বুঝতে চাইছে না অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গুরুত্ব। দেশে ধর্মীয় ভিত্তিতে নাগরিকত্ব আইন কখনও আগে হয়নি। এই ধর্মীয় উন্মাদনার কোনও মানে হয় না। সব দিক থেকেই এই আইন অসাংবিধানিক। পাশাপাশি, এই আইনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ভূমিকাকেও কটাক্ষ করেন কিছু দিন আগে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করে পুলিশের হাতে আটক হওয়া ইতিহাসবিদ। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কংগ্রেস দলটিকে পরিচালনা করতে নেতৃত্বের বদল প্রয়োজন। যদি নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়তে হয়, তাঁর জনপ্রিয়তার ভিত্তি কী, সেটা জানতে হবে। সেই হিসেব কষে যোগ্য নেতা নির্ধারণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কেরলে এক অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদীর তুলনা করেছিলেন রামচন্দ্র গুহ। তবে রাহুল গান্ধী সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য মোদীর প্রশস্তির জন্য নয়, একরকম হতাশা ও আবেগ থেকে বলে সাক্ষাৎকারে জানান ইতিহাসবিদ। তিনি এও জানিয়ে দেন, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের মোদীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী নেতা দরকার। কিন্তু সেটা কোনওভাবেই রাহুল গান্ধী নন।
সোমবার ইংরেজি সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইতিহাসবিদ ধর্মীয় ভিত্তিতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের শরণার্থীদের এ দেশের নাগরিকত্ব প্রদানের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে ব্যাখ্যা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন শ্রীলঙ্কায় তামিল সম্প্রদায়ের মানুষকে এই আইনের আওতায় আনা হল না।
কেন তিনি কেন্দ্রের নাগরিকত্ব আইনকে অযৌক্তিক বলছেন, এর উত্তরে রামচন্দ্র জানান, দেশজুড়ে এখন অর্থনৈতিক সঙ্কট চলছে, কাজ নেই, কৃষক অসন্তোষ বাড়ছে, পরিবেশগত ক্ষতি হচ্ছে। এই সময় দাঁড়িয়ে সিএএ- এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ যুক্তিযুক্ত এবং সরকারের উচিত পিছু হঠা। দেশজুড়ে ছাত্র বিক্ষোভ প্রমাণ করছে, তারা সরকারের প্রতি কতটা ক্ষুব্ধ, মন্তব্য ইতিহাসবিদের। তাঁর কথায়, এই একুশ শতকের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সময়ে দাঁড়িয়ে সরকার বুঝতে চাইছে না অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গুরুত্ব। দেশে ধর্মীয় ভিত্তিতে নাগরিকত্ব আইন কখনও আগে হয়নি। এই ধর্মীয় উন্মাদনার কোনও মানে হয় না। সব দিক থেকেই এই আইন অসাংবিধানিক। পাশাপাশি, এই আইনের বিরুদ্ধে বিরোধীদের ভূমিকাকেও কটাক্ষ করেন কিছু দিন আগে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ করে পুলিশের হাতে আটক হওয়া ইতিহাসবিদ। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কংগ্রেস দলটিকে পরিচালনা করতে নেতৃত্বের বদল প্রয়োজন। যদি নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লড়তে হয়, তাঁর জনপ্রিয়তার ভিত্তি কী, সেটা জানতে হবে। সেই হিসেব কষে যোগ্য নেতা নির্ধারণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কেরলে এক অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধী ও নরেন্দ্র মোদীর তুলনা করেছিলেন রামচন্দ্র গুহ। তবে রাহুল গান্ধী সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য মোদীর প্রশস্তির জন্য নয়, একরকম হতাশা ও আবেগ থেকে বলে সাক্ষাৎকারে জানান ইতিহাসবিদ। তিনি এও জানিয়ে দেন, ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের মোদীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী নেতা দরকার। কিন্তু সেটা কোনওভাবেই রাহুল গান্ধী নন।
Comments are closed.