একদিকে ফুটপাত ও সরকারি জমি দখলমুক্ত করা, অন্যদিকে হকারদের জীবন-জীবিকা বজায় রাখা, দুইয়ের ভারসাম্য রেখে প্রশাসনকে কাজ করতে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কড়া হুঁশিয়ারি দেন, টাকা খেয়ে যে নেতা বা কাউন্সিলার বহিরাগত হকারদের বেআইনিভাবে বসিয়ে দিচ্ছেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হবে। এমন কাজে পুলিশের কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও ছাড়া হবে না।
বেআইনিভাবে দখল করে থাকা জমি থেকে সরে নিয়ম মেনে চলার জন্য হকারদের এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দিলেন মমতা। হকার সমস্যা ও সরকারি জমি জবরদখল ইস্যুতে বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুরুতেই তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের হয়রানি কমানোর সঙ্গে সঙ্গেই হকারদের জীবন-জীবিকাও সুরক্ষিত করতে হবে। এই প্রসঙ্গেই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে কীভাবে হকার সমস্যার সমাধান করা যায়, তার নির্দেশ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। হকার-প্রতিনিধিদের আবেদনে সাড়া দিয়ে দখলমুক্ত করার অভিযান আপাতত এক মাস স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন তিনি। তার মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে রাজ্যের মোট হকার সংখ্যা নির্ধারণ এবং হকার সমস্যা মেটাতে একটি রোডম্যাপ তৈরির সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার।
রাজ্যের প্রতিটি পুরসভাকে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সমীক্ষার কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনিয়মের অভিযোগে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Comments are closed.