ময়ূখ-দেবজ্যোতি, উত্তর ২৪ পরগনায় সম্ভাব্য প্রার্থী দুই SFI নেতা
প্রার্থী তালিকা তৈরির পথে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে আলিমুদ্দিন
একুশের ভোটে তারুণ্যে ভরসা করছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সূত্রের খবর, প্রার্থী তালিকায় ৪০ শতাংশ আসনে অগ্রাধিকার ৪০ বছরের কম বয়সীদের। স্বভাবতই সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠনের অনেকেই এবার প্রার্থী হচ্ছেন।
সম্প্রতি TheBengalStory জানিয়েছিল হাওড়া থেকে দিপ্সীতা ধর এবং দুর্গাপুর থেকে ঐশী ঘোষ সিপিএমের প্রার্থী হতে পারেন। ঐশী জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া সংসদের বর্তমান প্রেসিডেন্ট। আর দিপ্সীতা এসএফআইয়ের জাতীয় পদাধিকারী এবং জেএনইউ প্রাক্তনী।
এবার জানা যাচ্ছে সিপিএমের প্রার্থী তালিকায় থাকতে চলেছে SFI এর সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস এবং SFI এর প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক দেবজ্যোতি দাসের নাম।
একুশের ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছে সিপিএম। জোটে আসা প্রায় নিশ্চিত আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফের। এই অবস্থায় প্রার্থী তালিকা তৈরির পথে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। আগেই জানা গিয়েছিল মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে এবার তৃণমূল ও বিজেপির মোকাবিলা করবে সিপিএম। TheBengalStory জানিয়েছিল, যে সব বাম প্রার্থীরা আগেরবার জয় পেয়েছিলেন এবং এখনও দলেই আছেন, যেমন অশোক ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তী, মানস মুখার্জি, আমজাদ হোসেন, তন্ময় ভট্টাচার্যরা এবারও টিকিট পাবেন। এছাড়া শালবণিতে সুশান্ত ঘোষ দাঁড়াবেন তা প্রায় নিশ্চিত। এবার জানা যাচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে সিপিএমের হয়ে ভোটে লড়বেন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস এবং এসএফআইয়ের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক দেবজ্যোতি দাস।
[আরও পড়ুন: পাঁচ তারা HHI ভাড়া নিয়ে বাংলায় ভোট করাবে বিজেপি, নেওয়া হচ্ছে অভিজাত অতিথিশালাও]
এখনও পর্যন্ত যা খবর, উত্তর ২৪ পরগনার দমদম আসন ভাবা হয়েছে ময়ূখ বিশ্বাসের জন্য। বিজপুর আসনে দাঁড়াতে পারেন দেবজ্যোতি। সিপিএম নেতারা বলছেন জোটের শর্ত অনুযায়ী দমদম আসনটি কংগ্রেসের পাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে ময়ূখের আসন বদলাতে পারে অথবা কংগ্রেসকে অন্য আসন দেওয়া হতে পারে। বিজপুর আসনটি রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই আসনের বর্তমান বিধায়ক মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। এবার বিজপুর আসনটি তৃণমূলের কাছে প্রেস্টিজ ফাইট। ফলে দেবজ্যোতি দাস লড়াই জমিয়ে দিতে পারেন।
কলকাতার ছেলে ময়ূখকে বর্তমানে সংগঠনের কাজে থাকতে হয় দিল্লিতে। তিনি সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অন্যদিকে দেবজ্যোতি দাস রাজ্যের ছাত্র-যুব রাজনীতিতে পরিচিত নাম। এবার এসএফআইয়ের বাঙালি নেতৃত্বকেও ভোটের ময়দানে নামিয়ে দিচ্ছে আলিমুদ্দিন। উদ্দেশ্য স্পষ্ট, মানুষকে তারুণ্যের বার্তা দেওয়া। কিন্তু এতে ভোট বাক্স ভরবে কি? সেটাই এখন সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন।
Comments are closed.