ধনতেরাস বা কালীপূজার দিন সকাল সকাল উঠে যদি আপনি দেখেন আপনার সামনে স্বয়ং মা কালী দাঁড়িয়ে আছেন , তবে আপনি কি করবেন? ঠিক এভাবেই ধনতেরাস এর দিন সকালে অর্থাৎ শনিবার সকালে দর্শকদের চোখ কপালে তুলে দিয়ে মা ভবতারিণী রূপে ধরা দিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। ছবি দেখে বোঝা দায় ” এ মূর্তি নাকি মানুষ” । ধন্ধে নেটিজেন রা। এটা কি আদৌ অভিনেত্রী শ্রুতি ? নাকি মা কালীর কোনো মূর্তি? বারংবার জুম করা সত্ত্বেও কিছুই ঠাওড় করে উঠতে পারছেন না নেটিজেনরা। অনেকে তো হঠাৎ দেখে মায়ের প্রতিমা ভেবে দুই হাত জোড় করে কপালেও ছুঁয়ে দিয়েছেন , পরে ছবির ক্যাপশন দেখে আর বিশ্বাসই হচ্ছেনা ছবিটি আসলে অভিনেত্রী শ্রুতির।
এই ছবিটি পোস্ট করে অভিনেত্রী ক্যাপশন এর প্রথমে লিখেছিলেন “মা ভবতারিণী, অনন্ত রূপিনি , সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় কারীনী।”
কিন্তু তারপর এই পুরো বিষয়টি খোলসা করে তিনি এটাও লেখেন যে এই ছবিটিতে তিনি মা ভবতারিণী রূপে ফুটে উঠেছেন এক অসামান্য রূপটান শিল্পীর হাতের জাদুতে। তিনি ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন” এটি কোন দেবী প্রতিমা নয় এটি একটি মনুষ্য শরীর যার উপর তুলির টানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেবী বিগ্রহ। এই রূপসজ্জা করেছেন শিল্পী মুক্তি রায়। ” তারপর তিনি সকল দর্শকের কাছে ভালোবাসা চেয়ে নিয়েছেন। অবশ্য ও তিনি এটাও জানিয়েছেন তার এই নাম ভবতারিণী রূপে প্রকাশ পেতে মোট সময় লেগেছে ১৩ ঘণ্টা। চোখ বন্ধ অবস্থায় চোখের উপরেই মায়ের চক্ষুদান করা হয়েছে।
অনেকে হয়তো এই ক্যাপশন দেখেও ব্যাপারটি বিশ্বাস করতে পারতেন না যদি না রূপদানশিল্পী মুক্তি রায় তার এই অসামান্য কাজের একটি ছোট্ট টাইম লাপস ভিডিও পোস্ট করতেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সেই ভিডিওটিতে মুক্তির তুলির টানে ধীরে ধীরে মনুষ্য থেকে দেবী রূপে শ্রুতির প্রকাশ দেখে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন দর্শকেরা। মন্ত্রমুগ্ধের মতন পুরো ভিডিওটি দেখে স্পিচলেস হয়ে গেছেন সবাই। পুরো পোষ্টের কমেন্ট বক্স তাদের ভালোবাসা ও কুর্নিশে ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।
View this post on Instagram
এই ছবির শুটের প্রসঙ্গে শ্রুতি দাস জানিয়েছেন , ” ইতিপূর্বে আমি মহালয়ার সময় টিভি শো এর জন্য মোট তিনবার কালি সেজেছি কিন্তু এইবারের অভিজ্ঞতা একেবারেই আলাদা যা আমার কাছে সেরা। আমায় এই স্যুটের জন্য বেছে নিয়েছেন বলে আমি মুক্তির কাছে কৃতজ্ঞ ।
এই ছবির কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন “অবিশ্বাস্য ! যদি ক্যাপশন না পড়তাম তাহলে বুঝতেই পারতাম না এটি আসলে কোন মানুষ!”
একজন আবার লিখেছেন, ” আমি তো ক্যাপশন না দেখে প্রণাম করেই ফেলেছিলাম তারপর ক্যাপশন দেখে পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পারি, মেকআপ আর্টিস্ট কে কুর্নিশ।”
Comments are closed.