দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত স্কিল ইন্ডিয়ার ভিডিও মুক্তি রাতারাতি বাতিল, জেএনইউতে যাওয়ার জের?

জেএনইউ-তে আক্রান্ত পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁর মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির বয়কটের ডাক দিয়েছেন বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী। এবার দীপিকা পাড়ুকোনের স্কিল ইন্ডিয়া প্রোমো ভিডিয়োর মুক্তি রাতারাতি বাতিল করল কেন্দ্রীয় দক্ষতা উন্নয়ন  মন্ত্রক।
অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলাদের নিয়ে দীপিকার আগামী ছবি ‘ছপক’ মুক্তির আগে অ্যাসিড আক্রান্তদের নিয়ে একটি স্বল্পদৈর্ঘের প্রচার ভিডিয়ো বানানো হয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে। ‘ছপক’-এর কাহিনীকে সামনে রেখে সেটি তৈরি হয়। দেশের একাধিক অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলার সঙ্গে ছবির অভিনেতাদের কথা বলার দৃশ্য রয়েছে ওই ভিডিয়োতে। ৪৫ সেকেন্ডের এই প্রচার ভিডিয়োয় ছিল দেশের সবার সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে দীপিকার বক্তব্য। মোদী সরকারের দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে ওই ভিডিয়োটি প্রকাশ করার কথা ছিল বুধবার। কিন্তু দীপিকার জেএনইউ-তে যাওয়া, দাঁড়িয়ে কানহাইয়া কুমারের বক্তব্য শোনা ও আক্রান্ত ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষের সঙ্গে তাঁর দেখা করা, এ নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর স্কিল ইন্ডিয়া ভিডিয়োর মুক্তি বাতিল করে দিয়েছে শ্রম মন্ত্রক। এমনটাই মনে করছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। যদিও মন্ত্রকের তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছে, বুধবার শুধুমাত্র ভিডিয়োটির ‘মূল্যায়নের’ কথা ছিল। তাছাড়া কোনও ‘ফর্মাল এনগেজমেন্ট’ও হয়নি। পাশাপাশি সেটির কিছু মাজাঘষা করা হচ্ছে। এটা যে নিছকই অজুহাত, সেটা সকলেই বুঝতে পারছেন।
জেএনইউ পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তাঁকে ঘিরে বিতর্ক প্রসঙ্গে দীপিকা পাড়ুকোন বলেছিলেন, দেশের এই পরিস্থিতি আমাকে আহত করছে। সেই সঙ্গে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেএনইউ হামলায় কেন উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়নি তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দীপিকা। তবে এই প্রচার ভিডিয়ো প্রকাশ না হওয়া নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার এর আগে বিভিন্ন অভিনেতার এই ধরনের প্রচার ভিডিয়ো ব্যবহার করেছে। স্কিল ইন্ডিয়া-র প্রোমোশনে ২০১৮ সালে বরুণ ধাওয়ান ও অনুষ্কা শর্মা অভিনীত ‘সুই ধাগা: মেড ইন ইন্ডিয়া’ ছবির মুক্তির আগে তাঁদের দিয়ে একটি প্রচার ভিডিয়ো করানো হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী কুশল বিকাশ যোজনার হয়ে প্রচার করেন দুই অভিনেতা। এমনকী দীপিকা পাড়ুকোনও এর আগে কেন্দ্রের একাধিক কর্মসূচির প্রচার করেছেন। গত বছরই দীপিকা এবং পি বি সিন্ধুকে ‘ভারত কী লক্ষ্মী’ আখ্যা দিয়ে সরকারি অ্যাম্বাসাডর করা হয়েছিল।

Comments are closed.