তাদের সেন্টারে ভর্তি হলে মিলবে ১০০ শতাংশ সাফল্য। সঙ্গে চাকরির সুযোগ। তাদের সেন্টার থেকেই পাশ করেছেন সফল মানুষেরা। এই ধরনের কোনও বিভ্রান্তমূলক বিজ্ঞাপন দিয়ে কোচিং সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি চলে হামেশাই। এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না বলে এবার জানাল কেন্দ্র।
বেঁধে দেওয়া হল প্রাথমিক গাইডলাইন। বলা হল, তা অমান্য করলে অর্থাৎ বিভ্রান্তকর বিজ্ঞাপন দিয়ে ধরা পড়লে কোচিং সেন্টার কর্তৃপক্ষের হতে পারে দু’ বছর পর্যন্ত জেল। ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। কলকাতা থেকে বা কোটা (রাজস্থান) বা দিল্লি থেকে মুম্বই, দেশে ছড়িয়ে রয়েছে লাখ লাখ কোচিং ইনস্টিটিউট। এই সব ইনস্টিটিউটের নানা সেন্টারে ছাত্রছাত্রীও ভর্তি হয় দেদার। মূলত প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতিই চলে সেখানে। প্রত্যেকেই দাবি করে, তাদের প্রতিষ্ঠানই শ্রেষ্ঠ।
কিন্তু আদতে কি তাই? দাবির সত্যতা কতটা? প্রিলিমিনারি হোক বা মেইনস, সফল ছাত্রছাত্রীদের একাংশের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের অসাধু যোগসাজোশেরও অভিযোগ রয়েছে। যেমন কোনও সফল ব্যক্তি হয়ত সেই প্রতিষ্ঠানে পড়েননি। অথচ ওই প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করছে তার ছবি। সম্প্রতি এ ব্যাপারে বৈঠক করেছে উপভোক্তা মন্ত্রকের অধীন সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি (সিসিপিএ)। উপভোক্তা সচিব রোহিতকুমার সিংয়ের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকেই কোচিং প্রতিষ্ঠানের জন্য কড়া অবস্থান নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে কোচিং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, এখন থেকে কোনও কোচিং প্রতিষ্ঠান বা সেন্টার ১০০ শতাংশ সাফল্যের দাবি করতে পারবে না। বিজ্ঞাপনে কোনও সফল ছাত্রছাত্রীর ছবি ব্যবহার করলে স্পষ্ট করে এও জানাতে হবে, তিনি কোন র্যাঙ্ক পেয়েছেন। কী কোর্স নিয়েছিলেন। তার সময়সীমা কত ছিল।
Comments are closed.