সন্তানরা বদলে ফেলেছেন নিজের ধর্ম, ক্ষুব্ধ হয়ে সম্পত্তি পুরোটাই মন্দিরকে ২ কোটি টাকার সম্পত্তি দান বৃদ্ধ বাবার, মন্দিরে দান করে দিলেন বাবা

তামিলনাড়ুর এক হিন্দু ব্যক্তি তার সন্তানদের ধর্ম পরিবর্তন করায় ক্ষুব্ধ হয়ে একটি মন্দিরে তার ২ কোটি টাকার বাড়ি দান করেছেন। বৃদ্ধ ক্ষুব্ধ হয়ে এও জানান যে তার ধর্মান্তরিত সন্তানরাও হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী তার শেষকৃত্য করবে না। তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরম থেকে ৮৫ বছর বয়সী ভেলাউধাম , তার সন্তানেরা খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ার কারণে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তিনি তামিলনাড়ু সরকারে স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসাবে কাজ করেছেন এবং তিনি যে বাড়িটি তৈরি করেছিলেন তার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। তার ২ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তাদের সবাই খ্রিস্টানদের সাথেই বিয়ে করেন এবং তারা তিনজনই খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছে।

একটি স্থানীয় সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে, ভেলায়ুধাম বলেছেন, “হিন্দু ধর্মের অনুসারী হিসাবে আমি চেয়েছিলাম আমার সন্তানরা আমাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করুক। আমার দুই মেয়েই খ্রিস্টান পুরুষদের বিয়ে করেছে এবং সরকারি চাকরি করছে। আমার ছেলে একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করে এবং একজন খ্রিস্টান মহিলাকে বিয়ে করেছে। তিনজনই খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তাই তাঁরা হিন্দু রীতি অনুযায়ী আমার শেষকৃত্য করবে না।”

ভেলায়উধাম বাড়ির সম্পত্তির অধিকার মন্দিরের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং মন্দিরটি বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকায় তিনি এই সমস্ত নথি HRCE মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল মিশনারিরাও ক্রিপ্টোর সাহায্যে এইচআরসিই-তে প্রবেশ করেছে এবং এখন তারা সিস্টেমে দখল করে বেআইনিভাবে মন্দিরের সম্পত্তি বিক্রি/ক্রয় করছে।

এই ঘটনা বাকি সনাতন ধর্মের অনুসারীদের জন্য একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ। যে বাবা-মা তাঁদের ছোটো থেকে সন্তানদের লালন-পালন করে মানুষ করেছেন, তাঁদের শিক্ষার দিয়েছে, যাতে তাঁরা তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, সেই সন্তানরাই শেষ সময়ে তাঁদের মা-বাবার শেষকৃত্য করে না। এর কারণ হল, তাঁদের সন্তানেরা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছে।

Comments are closed.