রায়গঞ্জে তৃণমূল লড়েছে মানুষ আর সংগঠনের জোরে, বিরোধীরা সেন্ট্রাল ফোর্স ও মিডিয়ার ভরসায়, আমরা জেতার ব্যাপারে আশাবাদীঃ শুভেন্দু অধিকারী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক দিয়েছেন, রাজ্যে ৪২ আসনে ৪২। কিন্তু তার জন্য প্রথম দরকার কংগ্রেস এবং বামেদের তিন শক্ত ঘাঁটি উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদে প্রভাব বিস্তার। এই তিন জেলায় কখনও লোকসভা আসন জেতা তো দূরের কথা, ২০১৬ সালের বিধানসভাতেও তৃণমূলের তুলনায় বিরোধীদের ফলাফল ছিল ভাল। এই তিন জেলার ৬ টি লোকসভা আসনে কী ফল হয়, তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। এই ৬ লোকসভা আসন উদ্ধারে তৃণমূল নেত্রী প্রধান দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। রায়গঞ্জ আসনে ভোট হয়ে যাওয়ার পর কী বলছেন রাজ্যের পরিবহণ এবং পরিবেশমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
প্রশ্নঃ ৬ টি হারা আসন উদ্ধার করা আপনার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তার মধ্যে প্রথমটা, রায়গঞ্জে ভোট হয়ে যাওয়ার পর এই আসন নিয়ে আপনার কী মূল্যায়ন?
শুভেন্দু অধিকারীঃ দেখুন, রায়গঞ্জে আমরা লড়েছি মানুষের সমর্থন আর আমাদের সংগঠনের শক্তির ভরসায়। বিরোধীরা লড়েছে আধা সামরিক বাহিনী আর মিডিয়ার ভরসায়। আমরা আশাবাদী রায়গঞ্জ জেতার ব্যাপারে। ভোটের পর যা খবর পেয়েছি, রায়গঞ্জ এবং কালিয়াগঞ্জ, এই দুই বিধানসভায় আমাদের ফল একটু খারাপ হতে পারে। বাকি ৫ বিধানসভাতেই আমরা ভাল লিড পাব। সমস্ত বুথে এজেন্ট থেকে বুথের বাইরে সহায়তা কেন্দ্র, আমাদের ইলেকশন মেশিনারি ভাল কাজ করেছে। ২০১৬ সালে আমরা রায়গঞ্জ লোকসভা এলাকায় যা ভোট পেয়েছি বা গত বছর পঞ্চায়েতে যা ভোট পেয়েছি, তাতে আমরা এবার এই আসন জেতার ব্যাপারে আশাবাদী।
প্রশ্নঃ এবার তৃতীয় পর্যায়ে মালদহের দুটি এবং মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে ভোট। ৪ টি আসনেরই দায়িত্বে আপনি। সেখানে কী হবে?
শুভেন্দু অধিকারীঃ না জেতার কোনও কারণই নেই। বৃহস্পতিবার মালদহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায়, রোড শো’তে যে লোক হয়েছে, এই জেলায় তা কোনও দিন হয়নি। তাই মালদহের দুটি আসনে না জেতার কোনও কারণ নেই। আমরা আশাবাদী, তৃতীয় দফার নির্বাচনে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের ৪ টি আসনই তৃণমূল জিতবে।
প্রশ্নঃ সব শেষে হচ্ছে বহরমপুর। অধীর চৌধুরীর দুর্গ…
শুভেন্দু অধিকারীঃ একটা কথা বলতে পারি, মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল এবার প্রথম শক্তি হবে। ভোটের পর তা প্রমাণ হবে।
Comments are closed.