যাদবপুরে এবছরের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল। ক্ষুব্ধ শিক্ষক-পড়ুয়াদের বড় অংশ।

যাদবপুরে প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল। ক্ষোভ শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রী মহলের একাংশের মধ্যে। বুধবার বিকালে এই বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কমিটির জরুরি বৈঠকেও স্থায়ী কোনও ঐক্যমত গৃহীত না হওয়ায়, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই বছরের জন্য বাতিল করা হচ্ছে প্রবেশিকা পরীক্ষা। অর্থাৎ এ বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে সব বিষয়ে ভর্তি নেওয়া হবে শুধুমাত্র দ্বাদশ শ্রেণীতে প্রাপ্ত নম্বরের উপর ভিত্তি করে। এবছর কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়- বাংলা, ইংরাজি, ইতিহাস, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও তুলনামূলক সাহিত্যে স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় কয়েক দশকের রীতিতে ছেদ পড়ল বলা চলে। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকের পর রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, হাতে আর বেশি সময় না থাকায়, এবছর প্রবেশিকা পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত সর্ব সম্মতক্রমেই নেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরাজি বিভাগের প্রধান অভিজিত গুপ্ত thebengalstory.com কে বলেন, প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে এই ধরনের বিতর্ক ও জটিলতা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়ে আসছে, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বোর্ড অফ স্টাডিজ এই পরীক্ষার দ্বায়িত্ব সামলেছেন। কোনও দিন পক্ষপাতিত্বের বা স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মানের সঙ্গেও কোনও আপোষ করা হয়নি। এবছর প্রবেশিকা পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি থেকেও যে বিষয়টি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে ও একটি বিভাগের প্রধান হিসাবে আঘাত দিয়েছে, তা হল প্রবেশিকা পরীক্ষা থেকে যাদবপুরের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভূমিকা খর্ব করার প্রচেষ্টা। তাঁর মতে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকরাই বিষয়টি ভালো বোঝেন তাই প্রশ্নপত্র তৈরি ও খাতা দেখার বিষয়টিও তাঁদের উপর ছাড়া উচিত। বাইরের থেকে প্রশ্ন পাঠানোর বিষয়টি তিনিও মানতে পারছেন না। তাঁর আশঙ্কা এর ফলে মেধার সঙ্গে আপোষের দরজা খুলে যেতে পারে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.