পুরী মন্দিরে জগন্নাথের ভোগ নিয়ে অচলাবস্থা অব্যাহত

ওড়িশা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় দুবছর আগে দর্শনার্থীদের জন্য গর্ভগৃহে প্রবেশ বন্ধ করা হয়। শুধুমাত্র পালাদারদের প্রবেশের অনুমতি ছিল। সেবায়েতদের বিরুদ্ধে ওঠা একধিক অভিযোগের জেরে এই পদক্ষেপ নেয় ওড়িশা হাইকোর্ট। গত সোমবার, ১৬ এপ্রিল থেকে এই অনুমতি ফের দেওয়া হয়। গত দু বছর ধরে গর্ভগৃহে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারছিলেন না। নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকেই তাঁদের দেবদর্শন করতে হত। গত সোমবারেই এই নিয়ম শিথিল করার কথা ছিল। দর্শনার্থীরাও সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করছিলেন। তবে তার আগেই ঘটে যায় আরও এক ঘটনা। প্রয়াত হন এক পালাদারের স্ত্রী। তিনি পুজো করতে না পারার জন্য তখন অন্য সেবায়েতরাও গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে অস্বীকৃত হন। এরপর সেবায়েতরা কার্যত ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় জগন্নাথের রান্নাঘর। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের নির্দেশে পুরীর জেলাশাসক দফায় দফায় কথা বললেও নিজেদের সিন্ধান্তে অনড় থাকেন সেবায়েতরা। এর ফলে ভোগ-প্রসাদ থেকে বঞ্চিত হয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ চরমে ওঠে। চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় মন্দির চত্ত্বরে। ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই অচলাবস্থার জেরে পুরীজুড়ে ভক্তদের মধ্যে বেড়েছে ক্ষোভ। শেষমেশ পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের নির্দেশে সরকারি আধিকারিকরা দফায় দফায় কথা বলেন মন্দিরের পালাদার ও সেবায়েতদের সঙ্গে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.