ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইন দিয়েও মিলছে না টিকা, দেশজুড়ে টিকা ভোগান্তি অব্যাহত
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লন্ডভন্ড গোটা দেশ। বুধবার দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৩ লক্ষ, ৬০ হাজার ৯৬০ জন। একদিনে মৃত্যু পেরিয়েছে সাড়ে ৩ হাজার। এই পরিস্থিতিতে সারা দেশ জুড়েই ভ্যাকিসনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বাদ নেই পশ্চিবঙ্গও।
বুধবার রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে দেখা গেল ভ্যাকসিনের জন্য লম্বা লাইন। চার পাঁচ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ।
এদিন সকালে এসএসকেএম হাসপাতাল চত্বরে ভ্যাকসিনের জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। প্রায় হাজার খানেক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল থেকে। বয়স্কদেরও লাইনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। ভিড়ের জেরে করোনা বিধি মানা হচ্ছে না বলে অনেকে অভিযোগ তোলেন।
বিধাননগর হাসপাতালের চিত্রটাও একইরকম। ভোর পাঁচটা থেকে এখানে ভ্যাকিসনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছে মানুষ। দীর্ঘ ৫ ঘন্টা অপেক্ষা করার পরেও অনেকে ভ্যাকসিন পাননি বলে অভিযোগ। এসবের মধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি নোটিস দিয়ে জানিয়েছেন শুধুমাত্র কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজই সেখানে পাওয়া যাবে। নোটিসের জেরে লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
একই অবস্থা মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও। সেখানেও কর্তৃপক্ষ নোটিস দিয়ে জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজই দেওয়া হবে। প্রথম ডোজ নিতে এসে বহু মানুষ দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও ফিরে যান।
উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতেও ভ্যাকসিনের অভাবে স্থানীয় মানুষদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পুরসভার উদ্যোগে পানিহাটির লোকসংস্কৃতি ভবনে ভ্যাকসিন দেওয়া ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বুধবার সকালে পুরসভার তরফে জানানো হয়, ভ্যাকসিনের অভাব থাকায় টিকাকরণ কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। পুরসভার ঘোষণার পর চরম অশান্তি শুরু হয়। উত্তেজিত জনতা সোদপুর বারাসাত রোড অবরোধ করে।
টিকা নিয়ে সমস্যা চলছে জলপাইগুড়িতেও। সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই লম্বা লাইন পড়ছে কিন্তু টিকা পাচ্ছেন না বহু মানুষ। তাঁরা ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
Comments are closed.