শাহের আগে শান্তিনিকেতনের চেয়ারে বসেছিলেন প্রণব- প্রতিভা- শেখ হাসিনা, ছবি দিয়ে দাবি বিজেপির, সমর্থন উপাচার্যের

শান্তিনিকেতনে গুরুদেবের সংরক্ষিত চেয়ারে বসার অভিযোগে অমিত শাহের সমালোচনা করে তৃণমূল

গত ২০ ডিসেম্বর শান্তিনিকেতনে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংরক্ষিত চেয়ারে বসে ভিজিটর বুকে সই করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ায় শাহের তীব্র সমালোচনায় মুখর হন তৃণমূল ও বাম নেতৃত্ব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। কিন্তু সত্যিই কি রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরের ‘সংরক্ষিত’ চেয়ারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর আগে কেউ বসেননি?
বিজেপির দাবি হ্যাঁ, এর আগে বহু বিশিষ্টজনই ওই চেয়ারে বসেছেন। বিজেপির এই দাবিকে সমর্থন করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও।
মঙ্গলবার বোলপুরে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি যখন সভার করছেন তখন একটি ট্যুইট করেছেন ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর তথা বিজেপি নেতা অনির্বাণ গাঙ্গুলি। সেই ট্যুইটে অনির্বাণবাবু ছবি দিয়ে দাবি করেন যে, অমিত শাহের আগেও বিশ্বভারতীর ওই ‘সংরক্ষিত’ চেয়ারে বসেছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, প্রতিভা প্যাটেল থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি অনির্বাণ গাঙ্গুলির আরও দাবি, কখনও ওই চেয়ারটি সরাসরি ব্যবহার করেননি রবীন্দ্রনাথ।
সংশ্লিষ্ট ট্যুইটে তাঁর দাবি, রবীন্দ্র ভবনের অ্যাকসেশন রুল অনুযায়ী, অমিত শাহ যে চেয়ারে বসেছিলেন সেটি এবং বেশ কিছু আসবাবপত্র ক্যাটেগরি- ২ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। যার অর্থ হল এগুলি সরাসরি কখনও গুরুদেব ব্যবহার করেননি এবং এগুলিতে বিশেষ অতিথিরা বসতে পারেন। ট্যুইটে অনির্বাণ গাঙ্গুলির কটাক্ষ, ‘শুধু অমিত শাহই ওই আসনে বসলেই তৃণমূলের ভাঁড়দের যত সমস্যা হয়।’ এদিকে মঙ্গলবারই বোলপুরের সভা থেকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে বেনজির আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাতেই একাধিক সংবাদমাধ্যমকে এর প্রতিক্রিয়া দেন উপাচার্য। সেখানে তিনিও তৃণমূলের দাবি খারিজ করে বলেন এর আগে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, প্রণব মুখার্জি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বসেছেন। আর অমিত শাহ কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে নয় দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শান্তিনিকেতনে উপস্থিত হন। তাই তাঁকে আপ্যায়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বভারতীর এই চেয়ারে অমিত শাহের বসার ছবি ছড়িয়ে যাওয়ার পর তাঁর তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। এমনকি সাংবাদিক বৈঠকেও অমিত শাহকে এজন্য কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এখন দেখার বিজেপির এই দাবির প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্ব কী প্রতিক্রিয়া দেন।

Comments are closed.