বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প নিয়ে কেন্দ্রের রিপোর্টে চমকে দেওয়া এক তথ্য সামনে এল। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলায় ক্ষুদ্রশিল্পের চালিকা শক্তি মহিলারাই। এ রাজ্যে অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর কাণ্ডারী মহিলারাই। কারণ, এরাজ্যে ৬২ শতাংশ ক্ষুদ্র শিল্পের মালিকানা রয়েছে মহিলাদের হাতে, যা দেশের গড়ের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। ফলে এক্ষেত্রে সারা দেশে বাংলা অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। কেন্দ্রের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শুধু শতাংশের হিসাবে নয়, সংখ্যার নিরিখেও সারা দেশে মহিলা ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থার মালিক বাংলায় সব থেকে বেশি। সেই অঙ্কটা হল প্রায় ৩০ লক্ষ।
একাধিক অনুষ্ঠানে মহিলাদের স্বনির্ভর করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের প্রাধান্য দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায়। কিন্তু, বাস্তব চিত্র বলছে একেবারে ভিন্ন কথা। এক্ষেত্রে বাংলার ধারে কাছে নেই গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ, অসম, বিহার, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়ের মতো ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলি।
এবিষয়ে শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেওয়া একাধিক কর্মসূচি রাজ্যের আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আর এর অন্যতম কারণ হল মহিলাদের ক্ষমতায়ন। বিগত ১৩ বছরে মহিলাদের নানান প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে স্বনির্ভর করে তোলা মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান লক্ষ্য ছিল। তার জেরেই আজ রাজ্যে এই সাফল্য।
Comments are closed.