বিজেপি’র সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজনৈতিক সন্ন্যাসের ঘোষণা যশবন্ত সিনহার

নরেন্দ্র মোদি- অমিত সাহ জুটির সঙ্গে তাঁর মতানৈক্য চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। বিজেপিতে থাকলেও যাবতীয় দলীয় কর্মকাণ্ড থেকে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী যশবন্ত সিনহাকে কার্যত ব্রাত্য করে রেখেছিল বিজেপির বর্তমান শীর্ষ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতে, শনিবার বিজেপির সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন এই প্রবীণ নেতা। এদিন পাটনায় নিজের সংগঠন ‘রাষ্ট্র মঞ্চ’-এর এক সভা থেকে এই ঘোষণা করেন যশবন্ত সিনহা। মঞ্চে যখন এই ঘোষণা করছেন প্রাক্তন বিদেশসমন্ত্রী তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন আরেক বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা শত্রূঘ্ন সিনহাসহ বিরোধী কংগ্রেস, আরজেডি, তৃণমূল কংগ্রেস, আপ, সপা নেতৃত্ব।
এদিন দল ছাড়ার ঘোষণার সময় যশবন্ত সিনহা বলেন, বর্তমান এনডিএ সরকারের আমলে দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে অপ্রাসঙ্গিক করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে যা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক।
উল্লেখ্য, বিজেপিতে মোদি জমানার প্রথম থেকেই লালকৃ্ষ্ণ আডবানি, যশবন্ত সিনহা, মূরলী মনোহর জোশীর মতন প্রবীণ নেতাদের একঘরে করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। নোট বাতিল থেকে বিদেশনিতী, মূল্যবৃদ্ধি থেকে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মতো একাধিক ইস্যুতে এর আগে মোদি সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন যশবন্ত সিনহা। অটল বিহারী বাজপায়ী এর সরকারে ১৯৯৮-২০০২ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং ২০০২-২০০৪ পর্যন্ত বিদেশমন্ত্রী ছিলেন বিহারের এই বর্ষীয়ান নেতা। তাঁর ছেলে জয়ন্ত সিনহা বর্তমানে মোদি মন্ত্রীসভায় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.