সদ্য গ্রাজুয়েট অথবা কর্মসন্ধানী। বেকার যুবক-যুবতীদের চলার পথ উজ্জ্বল করতে আর্থিক সহায়তা করার জন্য রাজ্য সরকার একটি প্রকল্প চালু করে। যা যুবশ্রী প্রকল্প নামে পরিচিত।
২০১১ সাল। ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে রাজ্যের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। দশ বছরে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন মমতা ব্যানার্জি। যার মধ্যে অন্যতম যুবশ্রী প্রকল্প।
যুবশ্রী প্রকল্প কী?
কন্যাশ্রী প্রকল্পের মতোই পশ্চিমবঙ্গের সরকার ২০১৩ সালে বেকার যুবক-যুবতীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য একটি প্রকল্প চালু করেন। যার নাম যুবশ্রী প্রকল্প।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের শ্রম দফতরের অধীনে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম নথিভুক্তকারী বেকার কর্মসন্ধানী যুবক-যুবতীদের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে মাসিক ১,৫০০ টাকা অনুদান দেওয়া হবে।
রাজ্যের শ্রম দফতরের পরিচালনায় এই প্রকল্পের আওতায় ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সের এবং অন্ততপক্ষে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ যুবক-যুবতীরা থাকতে পারবেন। এই প্রকল্পে উপভোক্তা প্রায় ২.২ লক্ষ। এই প্রকল্পের আওতায় থাকা ভাতা-প্রাপকদের প্রতি ৬ মাস অন্তর তাঁদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সরকারকে জমা দিতে হয়।
সুবিধা
- কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যা অর্থনৈতিক বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করবে সমাজকে।
- বেকার যুবকরা ১৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবেন।
- প্রকল্পটি নিজস্ব ব্যবসা শুরু করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে।
যোগ্যতা
- যে বছর আবেদন করছেন, সেই বছরের ১ এপ্রিলের নিরিখে বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। এবং অবশ্যই তাঁকে বেকার হতে হবে।
- ন্যূনতম যোগ্যতা, অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ হতে হবে। যুবশ্রী প্রকল্পে ভাতার জন্য কর্মসন্ধানী হিসাবে শ্রম দফতরের অধীনে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে অবশ্যই নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
- আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। পরিবারের মাত্র একজন সদস্য এই প্রকল্পের আর্থিক সহায়তার সুবিধা পাবেন।
- রাজ্য সরকার অধীনে কোনও আর্থিক ঋন থাকলে প্রকল্পের সুবিধা মিলবে না।
Comments are closed.