বুলডোজার চালিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হল প্রশান্ত কিশোরের বাড়ি। শুক্রবার বিহারের বক্সারে প্রশান্ত কিশোরের পৈতৃক বাড়ি ভেঙ্গে ফেলে নীতীশ প্রশাসন। জমি অধিগ্রহন করেই তৈরি হয়েছিল বাড়িটি। আর সেই জমি খালি করতেই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বাড়ির একাংশ বলে দাবি করেছে বিহার প্রশাসন। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলেই দাবি নীতীশ সরকারের।
প্রশাসনের দাবি, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য অধিগৃহীত জমি খালি করতেই প্রশান্তের পৈতৃক বাড়ির একাংশ ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। আর অধিগৃহীত অংশটুকুই ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ভোটকুশলী প্রশান্তের বাড়ির সামনে বুলডোজার ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের দেখে সাধারণ মানুষের ভিড় জমে যায়। ১০ মিনিটের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলা হয় বাড়ির পাঁচিল এবং মূল গেট।
[আরও পড়ুন- সাধারণ মানুষের আরও কাছে পৌঁছতে “দিদির দূত” অ্যাপ, ৮ দিনে ডাউনলোড ১ লক্ষের বেশি]
বক্সারের অহিরৌলিতে ৮৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ওই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন প্রশান্তের বাবা শ্রীকান্ত পান্ড্য। এতদিন পর ওই বাড়ি কীভাবে সরকারি অধিগৃহিত জমিতে পরিণত হল, সেই প্রশ্ন ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিহার নির্বাচনে জেডিইউ-র হয়ে মাঠে নেমেছিলেন প্রশান্ত কিশোর। নীতীশকে জেতানোর পিছনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিন্তু, নীতীশ কুমার বিজেপির হাত ধরায় ২০২০-র বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নীতীশের সঙ্গে প্রশান্তের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। NRC-CAA ইস্যুতে নীতীশের বিরোধিতা করতে শুরু করেন পিকে। এর জেরে জেডিইউ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করেন নীতীশ। এখন বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটকুশলী প্রশান্ত। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেনি প্রশান্ত কিশোর।
Comments are closed.