কেমিক্যাল জাতীয় দ্রব্য অনেক সময় সরকার দ্বারা সার্টিফাইড হয়না। এমন অনেক আন্তর্জাতিক কোম্পানি রয়েছে যা গোটা বিশ্বে নিষিদ্ধ। পানীয় থেকে শুরু করে ওষুধ, কীটনাশক, খাদ্যবস্তুকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে আশ্চর্য বিষয় হল, যা বিশ্ব নিষিদ্ধ তার মধ্যে অধিকাংশই ভারতে পাওয়া যায়। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলি যে সমস্ত ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর নোটিশ জারি করেছে। ভারতের বাজারে সেই সমস্ত নিষিদ্ধ জাত ব্র্যান্ডগুলিই রমরমিয়ে উঠেছে। এমনি ১০ টি জিনিস আমরা দেখে নেবো, যা বিশ্ব নিষিদ্ধ কিন্তু ভারতের নয়।
লাইটবয় সাবান:
বিশ্ব বাজারে লাইভবয় সাবান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু, ভারতে লাইফবয় সাবান স্নানের আইকনিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সাবানের মধ্যে পিএইচ মাত্রা এত বেশি থাকে যে এটি পশুর ত্বকের জন্যও ক্ষতিকারক। মানুষের ত্বকে পশুর ত্বকের থেকে অনেক বেশি নরম এবং সেনসিটিভ হয়। তাই এই ধরনের উচ্চ ক্ষারযুক্ত সাবান মানুষের ত্বকে প্রভাব ফেলবে পারে।
ডিসপ্রিন (ওষুধ):
খুব পরিচিত একটি ওষুধ ডিসপ্রিন। যেকোনো মেডিকেল শপে পেইন কিলার হিসেবে বিক্রি করা হয়। কিন্তু ভারতের বাইরে ডিসপ্রিনের কোন অস্তিত্ব নেই এবং চিকিৎসকরাও তাদের রোগীকে এই ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন না। চিকিৎসকরা বলছেন, ডিসপ্রিনের মধ্যে এমন কিছু ড্রাগস রয়েছে যা হার্টের অসুখকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ডি’ কোল্ড (ওষুধ):
কিডনিতে বিপজ্জনক প্রভাব ফেলতে পারে সেই কারণে বেশ কয়েকটি দেশে এই ওষুধটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে ভারতের বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হয় এই ওষুধ।
কীটনাশক:
ভারতের বাইরে সব দেশেই কীটনাশক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কীটনাশকের মধ্যে যে ধরনের কেমিক্যালস থাকে তা মানুষের শরীরেও বিষ হিসাবে কাজ করে। শাকসবজি এবং ফসলে ৬০ শতাংশেরও বেশি কীটনাশক ভারতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আমরা ভারতীয়রা অজেয় এবং কীটনাশক আমাদের ভয় দেখাতে না।
রেড বুল:
টিভিতে বিভিন্ন সময় দেখা যায় স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে রেড বুল -এর বিজ্ঞাপন। কিন্তু, ফ্রান্স, ডেনমার্ক এবং লিথুয়ানিয়ায় হার্টের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ যুক্ত রোগী এবং ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য এটি নিষিদ্ধ।
মিষ্টি জেলি:
আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে মিষ্টি জেলি নিষিদ্ধ। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য অনুপোযোগী। কিন্তু ভারতের এই মিষ্টি জেলির রমরমা বাজার।
কিন্ডার জয়:
বাচ্চাদের মনোরঞ্জনের অন্যতম কিন্ডার জয়। কিন্তু জানেন কি ভারতের বাইরে অন্য কোথাও এই খাদ্যজাত বস্তুটি পাওয়া যায় না। কিন্তু ভারতীয়রা তাদের বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা উপযোগী আর কোনটি নয় তা না জেনেই মনোরঞ্জনের খাতিরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে শিশুদের।
টাটা ন্যানো গাড়ি:
ব্যাপকভাবে পকেট ফ্রেন্ডলি একটি গাড়ি। কিন্তু গ্লোবাল এনসিএপি (Global NCAP) দ্বারা পরিচালিত ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্রাস টেস্টে পাশ করতে না পারার কারণে এটি ভারতের বাইরে অন্য কোনও দেশে পাওয়া যায় না।
মারুতি সুজুকি ৮০০:
আজ পর্যন্ত কোন পরীক্ষাতেই পাস করতে পারেনি মারুতি সুজুকি ৮০০। এটি প্রায় সমস্ত ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়েছে। তবুও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানে যে ভারতীয় চালকরা সুপারহিরো।
Comments are closed.