টেন ইয়ার্স চ্যালেঞ্জঃ ১০ বছর আগের রাম মন্দির আর বিজেপি সদর দফতরের সঙ্গে এখনকার তফাত তুলে ধরে অমিত শাহদের কটাক্ষ থারুরের
সম্প্রতি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে টেন ইয়ার্স (১০ বছর) চ্যালেঞ্জ। এই ২০১৯ এর সঙ্গে আপনার ২০০৯ সালের প্রভেদ কতটা। বিগত ১০ বছরে কতটা পরিবর্তন হয়েছে আপনার চেহারার। স্মৃতির স্মরণী বেয়ে উঠে আসা ১০ বছরের পুরনো সেই ছবির পাশেই নিজেদের বর্তমান ছবি বসিয়ে ফেসবুক, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করছেন নেটিজেনরা। এটাই এখন সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া ট্রেন্ড বলা যেতে পারে। এবার এই সাম্প্রতিক ট্রেন্ডকে কাজে লাগিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপিকে কটাক্ষে বিদ্ধ করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
শুক্রবার ট্যুইটারে একটি ছবি পোস্ট করেছেন শশী। ছবিটির দুটি অংশ। উপরের প্রথম অংশে দেখা যাচ্ছে, ২০০৯ সালে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য স্তুপাকারে কিছু পাথর জড়ো করে রাখা হয়েছে। ২০১৯ সালেও ওই পাথরগুলি ওই একই জায়গায় ওই একইভাবে পড়ে আছে। অর্থাৎ রাম মন্দির নিয়ে বিগত দশ বছরে বিজেপি এক চুলও এগোতে পারেনি। ছবিটির দ্বিতীয় অংশে ২০০৯ সালে দিল্লিতে বিজেপি হেড কোয়ার্টারের ছবির পাশে ২০১৯ সালের নব নির্মিত প্রাসাদোপম বিজেপি হেড কোয়ার্টারের ছবি দেওয়া হয়েছে।
ক্ষমতায় এলে অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির যে প্রতিশ্রুতি বিজেপি ২০১৪ সালে দিয়েছিল, ক্ষমতায় আসার পর পাঁচ বছর কাটতে চললেও তা নিয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে ইতিমধ্যেই বিজেপির জোর সমালোচনা শুরু করেছে শিবসেনার মত একদা বিজেপি ঘনিষ্ঠ দলগুলি। বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গুলিও দ্রুত অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের দাবিতে চাপ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রের উপর। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অযোধ্যা জমি মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, শীর্ষ আদালতের রায় দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে সরকার।
এই অবস্থায়, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অস্বস্তি বাড়াতে শশী থারুর যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এই পোস্টটি করেছেন বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। ১০ ইয়ার্স চ্যালেঞ্জ অনুকরণে বিজেপি ইতিমধ্যে ফাইভ ইয়ার্স চ্যালেঞ্জ নিয়ে গত পাঁচ বছরে বিজেপি দেশে কী কী কাজ করেছে, যা আগে হয়নি তার খতিয়ান তুলে পোস্ট করতে শুরু করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিজেপির সেই প্রচারকে ভোঁতা করতে শশী থারুরের এই পোস্ট কতটা কার্যকরী হয়, এখন সেটাই দেখার।
Comments are closed.