২০১৪ এবং ২০১৭ সালে টেট পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছেন এমন ২১ জন পরীক্ষার্থীকে ফের ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। পর্ষদ এবং ২১ জন পরীক্ষার্থীর আইনজীবীর বক্তব্য শুনে এদিন জাস্টিস গাঙ্গুলি নির্দেশ দেন, ওই ২১ জন ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের যোগ্য। মামলাকারীদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য ফর্মফিলাপের নির্দেশ দিয়েছেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি।
২০১৪ এবং ২০১৭ সালে মোট ১৫০ নম্বরে পরীক্ষা হয়। ‘১৪’-এর ৫ জন এবং ‘১৭’-এর ১৬ জন পরীক্ষার্থীদের আইনজীবী হাইকোর্টে জানান, এই ২১ জন পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেকেই ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর করে পেয়েছেন। শতাংশের হিসেবে করলে যা হয় ৫৪.৬৭ % . পরীক্ষার্থীদের আইনজীবীর বক্তব্য, গণিতের নিয়মে এই ৫৪.৬৭%-কে ৫৫% বলেই ধরা হয়। আর ৫৫% হলেই পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী ওই ২১ জন পরীক্ষার্থীই টেট উত্তীর্ন হয়েছেন। সেদিক থেকে তাঁদের ২০২২-এর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহন করতে দেওয়া হোক।
এদিনের মামলাকারীদের বক্তব্য শুনে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি পর্ষদকে নির্দেশ দেন, ২০২২ পর্ষদ যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে তাতে ওই ২১ জন চাকরি প্রার্থীকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে হবে।
Comments are closed.