বাবুল থেকে প্রদীপ, এক নজরে চিনে নিন বাংলার পাঁচ পূর্ণমন্ত্রীকে 

সদ্য মন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন পাঁচ নতুন মুখ। কে কোনও দায়িত্ব পাচ্ছেন এখনও ঠিক না হলেও, মমতা মন্ত্রীসভার পাঁচ নতুন মুখককে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। আসুন এক নজরে চিনে নেওয়া যাক, রাজ্যের নতুন মন্ত্রী মশাইদের। 

বাবুল সুপ্রিয়: সঙ্গীত জগতে তিনি তারকা হলেও রাজনীতিতে সেই অর্থে নতুন। ২০১৪ সালে ভোটের ময়দানে প্রবেশ। ২০১৪ থেকে ২০২১। এই সাত বছরে রাজনীতিতে বাবুলের যাত্রা এক কথায় ঘটানবহুল, বর্ণময়। ২০১৪ সালে বিজেপির টিকিটে আসানসোল থেকে প্রথমবার ভোটে লড়ে তৃণমূলের দোলা সেনকে হারিয়ে দেন। সাংসদ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্নেহভাজন ছিলেন। কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রীও হয়েছেন। ছন্দ কাটে ২০২১-এ। টালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে অরূপ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হন। মন্ত্রিত্ব হারিয়ে ক্ষুব্ধ বাবুল রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। তার কিছু দিনের মধ্যেই সবাইকে অবাক করে তৃণমূলে। এবং বালিগঞ্জ থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে মন্ত্রীসভায়। 

স্নেহাশিস চক্রবর্তী: প্রায়শই তাঁকে টিভি চ্যানেলের বিতর্ক অনুষ্ঠানে দেখা যায়। রাজনীতিতে প্রবেশ কংগ্রেসের হাত ধরে। এক সময়ে হুগলি জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে পর পর তিন বার জঙ্গিপুর বিধাসভায় জয়ী হয়েছেন। ২০২১ সালে তাঁকে শ্রীরামপুর লোকসভার সাংগঠনিক  সভাপতি করা হয়। কিন্তু সদ্য সাংগঠনিক রদবদলে জেলা সভাপতির পদ থেকে তাঁকে সরানো হয়। তখনই অভিষেক ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত স্নেহাশিসর মন্ত্রিত্ব নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। 

পার্থ ভৌমিক: এক সময়ে মুকুল রায় শিবিরের বলে পরিচিত ছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনার রাজনীতিতে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। জেলার যুব তৃণমূল সভাপতিও ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে নৈহাটি বিধানসভা থেকে জয়ী হয়ে আসছেন তিনি। পার্থ ভৌমিকও অভিষেক ব্যানার্জির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

 

উদয়ন গুহ: বাবা কমল গুহ ছিলেন বামফ্রন্ট আমলে কৃষি মন্ত্রী। উদয়ন গুহও দীর্ঘ দিন ফরোয়ার্ড ব্লকে ছিলেন। ২০০৬ সালে দিনহাটায় ফরোয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী হন। কিন্তু সেবারে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ২০১১ সালে ফের দিনহাটা কেন্দ্র থেকে সিংহ প্রতীকে বামফ্রন্ট প্রার্থী হন। সেবারে জয় পান। যদিও ফরোয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে দুরুত্ব তৈরি হওয়ায় ২০১৬ সালে তৃণমূলে যোগ দেন। ওই বছরই ঘাসফুল চিহ্নে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন। ২০২১ সালেও তৃণমূল প্রার্থী হন। কিন্তু বিজেপির নিশীথ প্রামানিকের কাছে মাত্র ৫৭ ভোটে হেরে যান। পরে ওই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হলে জয়ী হন। 

প্রদীপ মজুমদার; কৃষি দফতরের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন। কৃষি দফতরের যে কোনও সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তাঁর মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই অর্থে রাজনীতির লোক নন তিনি। ২০১৬ সালে দুর্গাপুর পশ্চিম থেকে তাঁকে প্রার্থী করেন তৃণমূল নেত্রী। যদিও সেবারে পরাজিত হন তিনি। এরপর ২০২১ সালেও ওই একই কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে জয়ী হন। আর এবারে রাজ্য মন্ত্রিসভায় এলেন প্রদীপ মজুমদার। 

Comments are closed.