রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রাপকের সংখ্যা এক কোটি ছাড়িয়ে যাক, চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুর ধনধান্য স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট উইক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি তাঁর এই আশার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। স্কুলস্তর থেকে উচ্চশিক্ষার যে কোনও পর্যায়ে টাকা যেন কোনও অন্তরায় না হয়, সেই লক্ষ্যে একাধিক প্রকল্প এনেছে রাজ্য সরকার। এখন তিনটি ধাপে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পায় ছাত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী হিসেব দেন, ইতিমধ্যে ৮৯ লক্ষ ছাত্রী এই বৃত্তি পেয়েছেন। এর জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। তিনি চান, এই সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে যাক। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সবুজ সাথী’র সাইকেল পেয়েছেন ১ কোটি ২৭ লক্ষ পড়ুয়া। এ বছরের সাইকেলও তৈরি। জানুয়ারির শেষে, তাঁর আলিপুরদুয়ার সফরের সময় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলে দেওয়া শুরু হবে সাইকেলগুলি।
ঐক্যশ্রী স্কলারশিপ দেওয়া হয় সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের। এখনও পর্যন্ত ৪ কোটি ১৫ লক্ষ পড়ুয়াকে এই বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। তাতে সরকারের খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। শিক্ষাশ্রী প্রকল্পটি তফসিলি জাতির পড়ুয়াদের জন্য। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৩৯ লক্ষ পড়ুয়া এই বৃত্তি পেয়েছেন। খরচ হয়েছে ১ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির জন্য বরাদ্দ মেধাশ্রী প্রাপকের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার। এর জন্য ব্যয় হয়েছে ৫৩ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ পেয়েছেন ৩২ লক্ষ ৬০ হাজার পড়ুয়া। স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড পেয়েছে ৮১ হাজার পড়ুয়া। বিনামূল্যে ব্যাগ, বই, জুতো এবং পোশাকের সেট দেওয়া হয়েছে ১৮ কোটি। এর পাশাপাশি রয়েছে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের অধীনে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে অনুদান।
Comments are closed.